ছাগলের টোপে একটি চিতাবাঘকে বনকর্মীরা খাচা বন্দি করলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মালবাজার শহর সংলগ্ন মালনদী চা বাগান এলাকার ২৭ নম্বর সেকশনে ওই বুনোটি ধরা পরে। শুক্রবার সকালে চিতাবাঘাটিকে গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ির ডিএফও (বন্যপ্রাণী বিভাগ) সুমিতা ঘটক বলেন, “চিতাটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। সুস্থ থাকায় সেটা উদ্ধারের পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” কয়েক মাস ধরে চিতাবাঘটি মালনদী, গুরজংঝোড়া, টুনবাড়ি চা বাগান এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে মুরগি, ছাগল তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মালনদী চা বাগান এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণের সময় কয়েকজন বুনোটির সামনে পড়েন। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও চিতাটিকে ধরা সম্ভব হয়নি। এক চা বাগান থেকে অন্য চা বাগান এলাকায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চলতে থাকে খাবারের খোঁজে হামলা। অবশেষে চিতাবাঘটির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা ছাগলের টোপ দিয়ে মালনদীতে ফাঁদ পাতেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ফাঁদে ধরা দেয় পুরুষ চিতাটি। কয়েকজন শ্রমিক জানান, পালানোর চেষ্টা করায় খাঁচার লোহার রডের ধাক্কায় সামান্য জখমও হয়েছে চিতাবাঘটি। মাথা ও মুখের আশপাশে ছড়ে যায়। জঙ্গলে ছাড়ার আগে শুক্রবার প্রথমে গরুমারা রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। |
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। বৃহস্পতিবার রাতে খানাকুলের পান্থহরি গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমি সামন্ত (১৭) নামে ওই তরুণীকে ঘুমের মধ্যেই সাপে ছোবল মারে। পুলিশ জানায়, রাতেই ওই তরুণীকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |
ফের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল বাঘ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ৪ নম্বর সামসেরনগরে। এ দিন সকালে একটি বাঘকে জঙ্গলের ধারে জালের কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন কয়েকজন গ্রামবাসী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেও ছাগল চরাতে গিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সামসেরনগরের কালীতলা এলাকার বাসিন্দা গিরিবালা মাঝি কুড়েখালি নদী সাঁতরে একটি বাঘকে এ পারে আসতে দেখেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁর চিৎকারে গ্রামবাসীর জড়ো হয়ে পটকা ফাটালে বাঘটি ফের জঙ্গলে ফিরে যায়। ফের সেই জায়গাতেই এ দিন বাঘের দেখা পাওয়ায় আতঙ্কিত গ্রামবাসী। বাসিন্দদের দাবি, গতদিনের বাঘটিই ফের এদিন দেখা গিয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকদের অনুমান, বর্ষায় জঙ্গলে শিকারে সমস্যা হওয়ার কারণেই হয়তো বাঘটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসার চেষ্টা করছে। বনকর্মীরা এবং গ্রামের মানুষ রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। |