বুদ্ধদেব পথে নামতে পারেন আজ |
নির্বাচনে পরাজয়ের পরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জনসমক্ষে আসতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আজ বিকালে বামফ্রন্ট মিছিল করবে মধ্য কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে আজাদ হিন্দ বাগ (হেদুয়া) পর্যন্ত সেই মিছিলে থাকার কথা বুদ্ধবাবুর। যিনি বাড়ি থেকে আলিমুদ্দিনে দলের রাজ্য দফতরে যাতায়াত ছাড়া ইদানীং অন্য কোথাও যান না। শুক্রবারও সিপিএমের তরফে বলা হয়েছে, বুদ্ধবাবু মিছিলে হাঁটবেন। এ ছাড়া, ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু-সহ শরিক দলের নেতাদের মিছিলে থাকার কথা। ভোটের আগে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র যাদবপুরে পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বুদ্ধবাবু। তবে ভিড়ের চাপে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি হুডখোলা জিপে চড়তে বাধ্য হন। অতীতে বহু বার পদযাত্রায় সামিল হলেও সম্প্রতিক অতীতে নিরাপত্তার কারণেই বুদ্ধবাবুকে হাঁটতে দেখা যায়নি। আজ তিনি কত দূর হাঁটেন, তা নিয়েই কৌতূহল রাজনৈতিক শিবিরে। বাম নেতারা মনে করছেন, বুদ্ধবাবু পদযাত্রায় সামিল হলে তা প্রতিবাদ-মিছিলে বাড়তি মাত্রা যোগাবে। ভোটে হারের পরে গত ৩১ মে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে একই দাবিতে বামফ্রন্টের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
|
যুব বিজেপি-র সভার স্থান বদল |
আজ, শনিবার জরুরি অবস্থা জারির ৩৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে অ-গণতন্ত্রের বিপদ সম্পর্কে বিজেপি-র যুব মোর্চার প্রচারসভার স্থান বদল হয়েছে। ওই সভা হওয়ার কথা ছিল মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে। বিজেপি নেতৃত্ব শুক্রবার অভিযোগ করেন, কলকাতা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর জন্যই তাঁদের ওই সভার স্থান বদলাতে হল। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতা পুলিশ যুব মোর্চাকে জানায়, ওই জায়গা সেনাবাহিনীর দায়িত্বে। ফলে তারা অনুমতি দিলে পুলিশও অনুমতি দেবে। পক্ষান্তরে, সেনাবাহিনীও বলে পুলিশ অনুমতি দিলে তারাও দেবে। এই প্রেক্ষিতেই সভাস্থল বদলেছে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। অন্য দিকে, এ দিনই মহাজাতি সদনের অ্যানেক্স হলে জরুরি অবস্থা নিয়ে একটি আলোচনাচক্রেরও আয়োজন করেছে বিজেপি-র আইনজীবী সেল। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ বক্তৃতা করবেন। বস্তুত, বিজেপি মনে করছে, বর্তমানে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার যে ভাবে দেশ চালাচ্ছে, তাতে ফের জরুরি অবস্থার ‘কালো দিন’ ফিরতে পারে। সেই কারণেই তাদের তরফে এই প্রচার-উদ্যোগ।
|
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকা থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দুই যুবক অরিত্রম মুখোপাধ্যায় ও প্রীতম বসুকে কারা জখম করেছে, শুক্রবারও তা জানতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা উদ্ধার হন। এখন তাঁরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানায়, জখমদের মোবাইলের ‘কল রেজিস্টার’ পরীক্ষা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের বন্ধুদেরও। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত পর্যন্ত ঠাকুরপুকুর থানার হরিদেবপুর এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই দুই যুবক। রাত দেড়টা নাগাদ তাঁরা কালো বাজারে মদ কিনতে যান। আড়াইটে নাগাদ অরিত্রম ফোনে বন্ধুদের জানান, মদ পেয়ে গিয়েছেন। তার পরেই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর ফোন। এখনও তাঁর মোবাইলটির হদিস মেলেনি। তবে, প্রীতমের ফোনটি বন্ধুদের কাছেই আছে। পুলিশের সন্দেহ, মদ কিনতে গিয়েই স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে বচসা হয় দু’জনের। স্থানীয় দোকানদার ও ফুটপাথবাসীদেরও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ছাড়া, উপেন্দ্রকিশোর লেন এলাকায় ভোর পর্যন্ত চারু মার্কেট ও রিজেন্ট পার্ক থানার টহলদারি ভ্যান থাকে। কোনও বচসা হলে তা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের নজরে পড়ত বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই দুই যুবক ছিনতাইবাজদের পাল্লায় পড়েছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ, তাদের মানিব্যাগ দু’টিরও হদিস মিলছে না। |