|
|
|
|
দেশে ফিরলেন অপহৃত ৬ নাবিক |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে দেশে ফিরলেন সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহৃত এম ভি সুয়েজের ৬ নাবিক। আজ সকাল সাড়ে ন’টায় ওই ছয় নাবিককে নিয়ে দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে এমিরেটসের একটি বিমান। আর তার সঙ্গেই যবনিকা পড়ে দীর্ঘ দশ মাসের এক ঘটনাবহুল নাটকের।
১০ মাস অপেক্ষার পর ওই ছয় জনকে দেখা মাত্র উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন ওই নাবিকদের পরিবার-পরিজন। কয়েক মিনিটের জন্য বিমানবন্দরে তৈরি হল অত্যন্ত আবেগঘন এক ছবি। সব মিলিয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ।
তবে ব্যাপারটা আর মধুর রইল না যখন ওই নাবিকদের প্রশ্ন করা হল তাঁদের মুক্তিতে ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে। পাকিস্তান সরকার, সে দেশের নৌবাহিনী এবং মানবাধিকার কর্মী আনসার বার্নির ভূয়সী
প্রশংসা করলেও, নয়াদিল্লির ভূমিকা নিয়ে মুখ খুলতেই চাননি দৃশ্যত ক্ষুব্ধ ওই নাবিকেরা। এমনকী উদ্ধার নাবিকদের ছেলেমেয়েদের হাতে ঝোলানো ছিল প্ল্যাকার্ড, যাতে লেখা ‘ধন্যবাদ আঙ্কল বার্নি, আমরা আপনাকে ভালবাসি’।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে এক জন, এন কে শর্মার কথায়, “পাকিস্তান সরকার আমাদের মুক্তির জন্য যা করেছে, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। আর ভারত সরকার কী করেছে বা কী করেনি, সে বিষয়ে কিছুই বলার নেই। এটুকু বলতে পারি, পাকিস্তানে আমরা খুব ভাল
ব্যবহারই পেয়েছি।” তবে সুয়েজের নাবিকদের মুক্তির ব্যাপারে আজ পাকিস্তান সরকার ও বার্নির উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণও।
তাঁদের উপর সোমালি জলদস্যুরা শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবেই অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ করেন ওই ছয় জন। ঠিক মতো খাবার, এমনকী জলও দেওয়া হত না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উদ্ধার নাবিকদের এক জন যেমন বললেন, “মদ্যপ অবস্থায় জলদস্যুরা হাতের কাছে যা পেত, তাই দিয়েই মারধর করত আমাদের। অত্যাচারের চোটে মাঝে মাঝে মনে হত, এর চেয়ে মৃত্যুও বুঝি ভাল।” |
|
|
|
|
|