বৈঠকে আশ্বাস দূতের
শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ উন্নয়নে মমতার পাশে ব্রিটেনও
কেন্দ্রের কাছ থেকে বুধবারেই বাংলার পক্ষে সর্বাধিক যোজনা বরাদ্দ নিয়ে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বৃহস্পতিবারেই তিনি পাশে পেয়ে গেলেন ব্রিটিশ সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকার সব রকম সহায়তা করবে বলে এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রিচার্ড স্ট্যাগ। নানা ভাবে অনুদান তো আসবেই। সেই সঙ্গে বিনিয়োগের মাধ্যমেও সহযোগিতা মিলবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। স্ট্যাগ এ দিন মহাকরণে মমতা এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চায় ব্রিটিশ সরকার?
স্ট্যাগ জানান, তাঁদের সরকার লগ্নির ব্যাপারে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেবে। বিনিয়োগের জন্য তাঁরা কেন বিশেষ ভাবে বাংলার শিক্ষা ক্ষেত্রকে বেছে নিচ্ছেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। তিনি বলেন, “আগামী এক দশকে এ রাজ্যে উচ্চশিক্ষার নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার হবে। সেই কারণে দরকার হবে ভাল মানের অনেক শিক্ষকের। এই শিক্ষক-প্রশিক্ষণে পরিকল্পিত ভাবে এগোনো দরকার।” তাঁরা যে এ ক্ষেত্রে আট ঘাট বেঁধেই এগোচ্ছেন, সেটাও স্পষ্ট করে দেন স্ট্যাগ।
তিনি বলেন, “শিক্ষা, শিক্ষক-প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার।”
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রিচার্ড স্ট্যাগ। নিজস্ব চিত্র
ব্রিটেনের সরকারি সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ডিএফআইডি-র সহায়তায় রাজ্যে ইতিমধ্যেই অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। স্ট্যাগ সেই সব প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে জানান, চালু প্রকল্পের কাজ যাতে ভাল ভাবে হয়, সেটা তো নিশ্চিত করা হবেই। নতুন কোনও প্রস্তাব পেলে তা-ও বিবেচনা করা হবে গুরুত্বের সঙ্গে। স্ট্যাগ এ দিন কলকাতা পুরভবনে গিয়ে পুর কমিশনার অর্ণব রায়ের সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। ব্রিটিশ সাহায্যে পুরসভার যে-সব প্রকল্পের কাজ চলছে এবং অন্য যে-সব পরিকল্পনা আছে, নকশা-মানচিত্র সহযোগে তাঁকে সবই দেখানো হয়। ডিএফআইডি-র অনুদানে উন্নয়নের কাজ চলছে উল্টোডাঙার ভিআইপি মার্কেটে। এ দিন সেখানকার কাজকর্ম ঘুরে দেখেন ব্রিটিশ দূত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারও। শুধু সরকারি প্রকল্প নয়, ব্রিটেনের বিনিয়োগকারীরা যাতে এ রাজ্যে বেসরকারি শিল্প গড়তে আগ্রহী হন, সেটাও বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্ট্যাগ। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাপানের প্রতিনিধিরা কলকাতায় এসে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রবার্ট ব্লেক এক সপ্তাহ আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে বিনিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা করেন। তার পরে এল ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সহযোগিতার আশ্বাস।
First Page Rajya Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.