প্রি অলিম্পিক ম্যাচটা শেষ হতেই পুণে থেকে জাতীয় কোচ আর্মান্দো কোলাসো ফোনে বললেন, “ইমপ্রেসিভ! ইমপ্রেসিভ! বেশ ভাল লাগল টিমটা। বিশেষ করে রাজু গায়কোয়াড় এবং জেজেকে।”
কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না। লন্ডন অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল ভারতের। জিততে হত ২-০। শুরুর দিকেই পেনাল্টি পেয়ে সুযোগ নষ্ট করেন ডিকা। জাতীয় কোচ আর্মান্দো মনে করছেন, ওটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল। পেনাল্টিতে গোলটা হলে ভারতের জেতার সামান্য সম্ভাবনা থাকত।
পেনাল্টি নষ্ট করলেও বিরতির পরেই একটা আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ভারত। লেফট ব্যাকের জায়গা থেকে ব্যাক পাস কাতার কিপার ধরতে পারেননি। ওই গোলটার সুযোগ নিতে পারল না ভারত। বরং শেষ দিকে একটা গোল হজম করায় স্কোর দাঁড়াল ১-১। সব মিলিয়ে হার ২-৪।
ভারতীয়রা অবশ্য সাহস দেখালেও বৈচিত্র দেখাতে পারেননি। পুণের ভেজা মাঠে কাতারিদের লম্বা চেহারা দেখেও ভারতীয় তরুণরা লং বল খেলতে লাগল। জমি ঘেঁষা পাসে এগোলই না। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে আর্মান্দো কোলাসো বললেন, “ওদের তো লং বলই খেলতে শেখানো হয়েছে। এ ভাবেই খেলেছে। কী করবে? তবে ছেলেগুলোর মানসিকতা খুব ভাল লাগল। ইন্ডিয়ান অ্যারোজ দলটা গড়া সাম্প্রতিক কালে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ঘটনা।” এই ম্যাচটা দেখার জন্যই তিনি দিল্লি থেকে এসেছিলেন পুণেতে। বুলপিনের দলটার সাত-আট জন যাচ্ছেন সিনিয়র দলে। আর্মান্দো গোয়া হয়ে দিল্লি যাবেন শুক্রবার সকালে। বললেন, “এই ছেলেগুলো দিনে দিনে আরও ভাল খেলবে।” |