|
|
|
|
রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা চান তেলুগু দীপক |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
টি-শার্টে পোস্টার লাগিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক। তাঁকে রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে আবেদন জানান তিনি। কড়া পুলিশি পাহারায় এ দিন তাঁকে দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হাজির করানো হয়। আগের দিন, বুধবার রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা চেয়ে দশম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ঠিক আর্জি জানিয়েছিলেন মধুসূদন মণ্ডল, রাধেশ্যাম দাস-সহ পাঁচ মাওবাদী নেতা। তাঁদের আর্জির শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৪ জুলাই।
এ দিন দীপকের টি-শার্টে লাগানো পোস্টারে লেখা ছিল: বিভিন্ন জেলে থাকা রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; তাঁদের বিনা বিচারে তাঁদের আটকে রাখা চলবে না; যে-সব বন্দিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করতে হবে ইত্যাদি। এই সব দাবির পক্ষে তেলুগু দীপকের আইনজীবী একটি আবেদনও পেশ করেন। সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ এ ব্যাপারে শুনানির আবেদন জানান। বিচারক তপনকুমার দাস ৭ জুলাই শুনানির তারিখ ধার্য করার নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি অভিযুক্তের আইনজীবী শুভাশিস রায় এই মামলার তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার যে-অভিযোগ এনেছিলেন, বিচারক এ দিন সেটি খারিজ করে দেন।
বিচারাধীন মাওবাদী বন্দিরা এর আগেও বুকে পোস্টার লাগিয়ে আদালতে হাজির হয়েছেন। এ দিন আসেন দীপক। আইনজীবীদের প্রশ্ন, ওই অভিযুক্তেরা জেলে আছেন এবং কড়া পুলিশি ব্যবস্থায় তাঁদের আদালতে তোলা হচ্ছে। তা হলে তাঁরা নানাবিধ পোস্টার পাচ্ছেন কোথায়? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
বিভিন্ন জেলে বন্দি মাওবাদী নেতারা নানা দাবিদাওয়া নিয়ে এক দিনের প্রতীক অনশন করেছেন বলে অভিযুক্ত দীপক এ দিন আদালতে জানান। আদালতের অনুমতি নিয়ে এ দিন তিনি আসামির কাঠগড়া থেকে নেমে সামনে কাঠের বেঞ্চে বসেন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের সুপার চিত্তরঞ্জন ঘোড়াই জানান, এ দিনও দীপক-সহ ১৪ জন বন্দি এক দিনের প্রতীক অনশন করেছেন। |
|
|
|
|
|