বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল ঢাকার একটি আদালত। বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর এই কাজে কোকোকে সাহায্য করার জন্য খালেদা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে সায়মনকেও একই সাজা দিয়েছে আদালত।
তাঁদের দু’জনকেই ৩৮ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আদালত সরকারকে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। একটি সংস্থাকে দেশে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে নেওয়া ঘুষের টাকা কোকো বিদেশে পাচার করেন বলে অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের। তারা ২০০৯-এ কোকো ও সায়মনের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে ২৮ লক্ষ ৮৪ হাজার ডলার ও আমেরিকায় ৯ লক্ষ ৩২ হাজার ডলার পাচারের অভিযোগে মামলা করে।
২০০৭-এর ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোকোকেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কোকো চিকিৎসার কারণে বন্দি দশা থেকে সাময়িক মুক্তি নিয়ে ২০০৮ থেকে বিদেশে। আদালতের দেশে ফিরে আসার নির্দেশকে বার বার অমান্য করেন তিনি। আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় তাঁকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে এ বছর ৪ জানুয়ারি থেকে তাঁর বিচার শুরু হয়। মামলার পর থেকে সায়মনও বেপাত্তা। আদালতের আজকের রায়ের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিতে চলেছে বিএনপি।
|
অবশেষে ঘরে ফেরার পালা। সোমালি জলদস্যুদের হাতে দশ মাস পণবন্দি থাকার পর আগামী কাল দেশে ফিরছেন ছয় ভারতীয় নাবিক। গত বছর অগস্টে ২২ জন কর্মী-সহ মিশরীয় জাহাজ ‘এমভি সুয়েজ’কে পণবন্দি করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মিশরের নাবিকদের সঙ্গে সেই জাহাজে ছিলেন ছয় ভারতীয়। সম্প্রতি মোটা মুক্তিপণের বিনিময়ে জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পান সকলে। এরই মধ্যে ‘এম ভি সুয়েজ’-এর জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় পাক নৌসেনা আটক নাবিকদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়। পাক নৌবাহিনীর জাহাজেই আজ বিকেলে করাচি পৌঁছন ভারতীয় নাবিকরা। এই ছয় ভারতীয় নাবিককে অভ্যর্থনা জানাতে বন্দরে উপস্থিত ছিলেন ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনের কাউন্সেলর সুহেল ইজাজ খান। ছিলেন কয়েক জন নাবিকের পরিবারের লোক জনও। |