|
|
|
|
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনের জের |
দাঁইহাটে কর্তারা, বাঁধ বাঁচানোর আশ্বাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
জুলাইয়ের আগে বাঁধ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়, দাঁইহাটে গিয়ে জানালেন সেচ দফতরের কর্তারা। স্বভাবতই দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছে দাঁইহাট শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। তবে সেচ কর্তাদের তাঁরা জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ওই বাঁধ রক্ষা করা আর সম্ভব হবে না।
মঙ্গল ও বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকায় দাঁইহাট বাঁধের প্রতিবেদন ও ছবি দেখে নড়েচড়ে বসেন সেচ দফতরের বর্ধমান দামোদর ক্যানাল ডিভিশনের কর্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অশোক ভট্টাচার্য দাঁইহাটে যান। সঙ্গে ছিলেন ওই দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার ভাস্বরসূর্য মণ্ডল, দাঁইহাটের পুরপ্রধান কংগ্রেসের সন্তোষ দাস প্রমুখ।
|
|
ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন, বাঁধের গায়ে থাকা বোল্ডার এমনকী বাঁধের ভিতরের অংশও ভাগীরথীর গর্ভে চলে গিয়েছে। নির্বাহী বাস্তুকার বলেন, “এই তো কয়েকদিন আগে এখান থেকে ঘুরে গিয়েছি। আগের চেয়ে বাঁধের অবস্থা আরও বিপজ্জনক।” স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ মণ্ডল, সুখলাল চৌধুরী, রামানন্দ চৌধুরীরা বলেন, “এখনই বাঁধ রক্ষা করা না গেলে যে ভয়াবহ বিপদ হয়ে যাবে।”
নির্বাহী বাস্তুকার যদিও জানিয়েছেন, এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে না। বাঁশের খাঁচার ভিতর বোল্ডার দিয়ে ভাগীরথীতে ফেলতে গেলেও তা ১০ জুলাইয়ের আগে হবে না। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাঁধের ৬০০ মিটার অংশে বাঁশের খাঁচা ফেলা হবে। ১৩০০ খাঁচা ফেলার জন্য সেচ দফতরের খরচ হবে ১৫ লক্ষ টাকা।
এই কথা শুনে দাঁইহাটের পুরপ্রধান সন্তোষ দাস কথা বলেন অশোকবাবুর সঙ্গে। সন্তোষবাবুর কথায়, “জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা না গেলে বাঁধ রক্ষা করা যে সম্ভব হবে না।” যদিও অশোকবাবু তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাতে কাজ শুরু করা যায়, তার উদ্যোগ হবে।” ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে নির্বাহী বাস্তুকারকে বাঁধ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ও ভাগীরথীতে বোল্ডার স্পার করার জন্য ‘স্কিম’ তৈরি করার নির্দেশ দেন তিনি। অশোকবাবু বলেন, “ওই দু’টি স্কিমের মধ্যে যে কোনও একটির অনুমোদন পাওয়া গেলে চলতি বছরেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। তবে বোল্ডার স্পার করতে গেলে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুমোদন নিতে হবে।” |
|
|
|
|
|