|
|
|
|
মহাকরণে রবীন্দ্রনাথ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
জেলার উন্নয়ন নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছেন। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রস্তাব কার্যকর করানোর ব্যাপারে মহাকরণে মন্ত্রীদের দফতরে ঘোরাঘুরি করছেন কোচবিহারের নাটাবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুক্রবার নাটাবাড়ির বিধায়ক বিধানসভায় কোচবিহারের বিমান বন্দর চালুর দাবি জানান। এর আগে চলতি অধিবেশনেই তিনি কোচবিহারে নদীভাঙন রোধে মাস্টার প্ল্যান তৈরির দাবি জানান। গত পাঁচদিনে রাজ্যের অন্তত ১৫ জন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জেলার বেকার যুবকদের কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে যাওয়া ঠেকাতে পরিকল্পনা গ্রহণ, উচ্চ শিক্ষার জন্য জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি-সহ একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেছেন। ১৩ জুন চলতি বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিতে নাটাবাড়ির বিধায়ক কলকাতায় পৌঁছন। ১৭ জুন পর্যন্ত বিধানসভা অধিবেশনের ফাঁকে তিনি কলকাতায় ১৫ জন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অথর্মন্ত্রী অমিত মিত্র, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পরিবহণ মন্ত্রী সুব্রত বক্সি, ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব রয়েছেন। কোচবিহারের তিন লক্ষাধিক যুবকের কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে যাওয়া ঠেকাতে জেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের জন্য তিনি শিল্পমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে প্রস্তাব দেন। কোচবিহারের বিশ্ববিদ্যালয় এবং নতুন কলেজ তৈরির ব্যাপারে তিনি উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীকে প্রস্তাব দেন। পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমকে ঢেলে সাজার প্রস্তাব দেন। ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে কোচবিহারের রাজবাড়ি স্টেডিয়াম, তুফানগঞ্জ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠের আধুনিকিকরণের প্রস্তাব দেন তিনি। বনমন্ত্রী এবং উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীর কাছেও জেলার উন্নয়নে নির্দিষ্ট ভাবে প্রস্তাব পেশ করেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি জানান, বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মানোন্নয়ন, পানীয় জল পরিষেবা চাঙা করা, নায়েব আলি টেপুর নামে ভাওয়াইয়া অ্যাকাডেমি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। নাটাবাড়ির বিধায়ক বলেন, “বাম সরকার গত তিন দশকে জেলার সামগ্রিক উন্নয়নেই নজর দেয়নি। ফলে সমস্যা বেড়েছে। মানুষের প্রত্যাশার কথা মাথায় রেখে মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে জেলার বাসিন্দাদের প্রত্যাশা পূরণের দাবি জানাচ্ছি।” |
|
|
|
|
|