|
|
|
|
মোস্তাক সভাধিপতি না-হওয়ায় ক্ষোভ কংগ্রেসেই |
দলের অসন্তোষ মেটাতে আসরে নামলেন মৌসম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
মোস্তাক আলম জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ না পাওয়ায় জেলা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সরব হলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। ‘আশ্বাস দিয়েও’ মোস্তাক আলমকে সভাধপিতি না-করে রাজনৈতিক অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হরিশ্চন্দ্রপুর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পার্টি অফিস থেকে দলীয় পতাকা খুলে দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন সেখানকার নেতা-কর্মীদের একাংশ। শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনার পর এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ আঁচ করে শনিবার দিনই ব্লক কংগ্রেসের তরফে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে দুটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছাড়াও ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান, অঞ্চল প্রধানদেরও হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সভাতেই দলীয় স্তরে আলোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম অবশ্য সভাপধিপতি না হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “দলীয় স্তরে আলোচনা করেই যা হওয়ার হয়েছে।” তবে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিমানবিহারী বসাক বলেন, “উত্তর মালদহে আমরা যাঁরা কংগ্রেস করি প্রত্যেকেই আশাহত। যেভাবে মোস্তাক আলকে বারবার হেয় করা হচ্ছে, তা নেতা-কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না বলেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবারের সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর জেলা পরিষদের দাবিদার ছিলেন মোস্তাক আলম। কিন্তু তাঁকে করা হয় পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। দ্বিতীয় বার ফের একই সুযোগ আসায় কোতোয়ালি পরিবারের ৩৪ বছরের ঘনিষ্ঠ মোস্তাক আলম সভাধিপতি হচ্ছেন, এটা ধরে নিয়েছেলেন তাঁর অনুগামী নেতা-কর্মীরা। ফলে বৃহস্পতিবার দিন মোস্তাক আলমের সভাধিপতি না হওয়ার খবর পৌঁছানোর পর থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁদের ক্ষোভের কথা ব্লক সভাপতিদের জানিয়েও দেন তাঁরা। উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “পদ না পেলে ওই এলাকার দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ হতেই পারে। তবে এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে যাতে অসন্তোষ না থাকে সে জন্য জেলা কংগ্রেস উদ্যোগ নেবে। আমরাও কর্মীদের বোঝাব।” |
|
|
|
|
|