|
|
|
|
হুমকিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর |
পুলিশের কাছে বামনেতার স্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
কলেজের ডান-বাম ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ, দলত্যাগের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে মালবাজার শহরেও। বৃহস্পতিবার ঘটনার পর রাতে তৃণমূলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা এসএফআই নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দল ছাড়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মালবাজারের তৃণমূল নেতা তথা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন সাহা এবং তাঁর ৪ অনুগামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসএফআই-এর মালবাজার প্রাক্তন ইউনিট সম্পাদক সুব্রত দত্তের স্ত্রী পম্পা দত্ত ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। শহর জুড়ে উত্তজেনা ছড়াতে থাকায় রাত সাড়ে ৮টা থেকে মালবাজার থানার ওসি বাসুদেব সরকারের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী রুট মার্চ শুরু করে। শুক্রবার মালবাজার কলেজে বিএ এবং বিকম পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার পরে কলেজের গোলমালের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জয়ন্ত বড়ুয়া নামের আরেক এসএফআই সমর্থককে শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মালবাজারের এসডিপিও অরিন্দম সরকার বলেন, “বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।” গত বৃহস্পতিবার ধৃত দুই এসএফআই কর্মীকে এদিন আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। তবে বাম ছাত্র নেতাদের হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা স্বপনবাবু। তিনি বলেন, “মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি কাউকে হুমকি দিইনি।” অভিযোগকারিণী প্রাক্তন এসএফআই নেতার স্ত্রী পম্পা দেবী বলেন, “তৃণমূল কাউন্সিলর লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে।” কলেজের গোলমালের ঘটনায় ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে ১৭ জনের নামে এদিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে এসএফআই। হুমকির রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন মালবাজারের কংগ্রেস নেতা পুলিন গোলদার। তিনি বলেন, “ভয় দেখানো, হুমকির রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। রাজনৈতিকভাবে বিরোধিতার লড়াই করে যাবে কংগ্রেস।” সিপিএম নেতারা বৈঠক করার পর জোনাল সম্পাদক চানু দে’র নেতৃত্বে এসডিপিও’র সঙ্গে দেখা করেন। এরই মধ্যে মালবাজারে দলবদল অব্যাহত রয়েছে। এদিনই মালবাজারের কলেজের ৯০ জন এসএফআই কর্মী, সমর্থক তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সংগঠনের জেলার আহ্বায়ক সৌরভ ঘোষ। যার মধ্যে কলেজের ১২ জন শ্রেণি প্রতিনিধি রয়েছে। দলবদলের এই খবর জানেন না বলে পাল্টা দাবি করেছেন কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরঞ্জন চক্রবর্তী। পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে কলেজে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন অধ্যক্ষা নন্দিতা সরকার। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন করছি।” |
|
|
|
|
|