যশোহর রোডে তীব্র যানজট এখন নিত্যদিনের যন্ত্রণা। তাই ওই রাস্তার উপরে উড়ালপুল তৈরির জন্য প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার
দীর্ঘ রাস্তার উপর দিয়ে ওই উড়ালপুল তৈরির জন্য শুক্রবার এলাকা ঘুরে পর্যবেক্ষণের কাজ করেন কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্রক ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকেরা। তবে গোটা যশোহর রোডের দৈর্ঘ্য জুড়েই ওই উড়ালপুল হবে, নাকি শুধু যেখানে রাস্তা চওড়ার জন্য জমি দখলের প্রশ্ন উঠবে, শুধু সেই অংশটুকুতেই উড়ালপুল হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “এই কাজ করতে গিয়ে কোনও জমি দখল করা হবে না।”
এর আগে জমি অধিগ্রহণের প্রশ্নে তৃণমূলের বাধায় আটকে গিয়েছিল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। একই ভাবে আটকে যায় যশোহর রোড সম্প্রসারণ ও বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত বিকল্প রাস্তার কাজও। জমি দখলের প্রশ্নে সেই সময় বাধা দেন তৃণমূলকর্মীরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে যশোহর রোডের যাতায়াত
সমস্যার সমাধানে জমি অধিগ্রহণ না-করে উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ভূতল পরিবহণ মন্ত্রক ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে এ দিন ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আঞ্চলিক অধিকর্তা অহলুওয়ালিয়া বলেন, “উড়ালপুল তৈরির জন্য এ দিন প্রাথমিক পর্যায়ের সমীক্ষা চালানো হয়। কী ভাবে কাজ করা যেতে পারে, সেই ব্যাপারে আলোচনাও হয়েছে।” এ দিন বিকেলে বিমানবন্দর থেকে হাবরা পর্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ওই প্রতিনিধিরা। সঙ্গে ছিলেন ৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকেরাও। সেখানে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ছাড়াও ছিলেন স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা। কী ভাবে উড়ালপুলের কাজ করা যায়, তা দেখতে বিভিন্ন মোড়ে রাস্তা মেপে দেখে প্রতিনিধিদল। তবে দুর্যোগের জন্য কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়।
যে-সব এলাকায় যশোহর রোড সঙ্কীর্ণ, যেখানে স্তম্ভ তৈরি করে উড়ালপুল নির্মাণে সমস্যা রয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে সেতুটি যশোহর রোডের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়। কাকলিদেবী বলেন, “বিমানবন্দর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত গোটা রাস্তাতেই উড়ালপুল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। রেলগেট, ক্রসিং, যানজটের জায়গাগুলিতে উড়ালপুল গড়ে এবং বাকি এলাকায় যশোহর রোড চওড়া করে কাজ করা যায় কি না, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।” |