দলেরই সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেল ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পাত্রসায়র থানার মুক্তপুর গ্রামে। হামলায় আহত হন তৃণমূল সমর্থক মা ও ছেলে। তাঁদের মধ্যে ওই মুক্তপুরেরই বাসিন্দা, বছর পঞ্চান্নর সাবিত্রী লোহারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর ছেলে দুলাল পাত্রসায়র ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। দুলালবাবু তৃণমূলের হামিরপুর অঞ্চল সভাপতি বংশী বারি-সহ বেশ কয়েক জন দলীয় কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুলালবাবুর অভিযোগ, “এ দিন বাড়িতে মা আর পরিবারের লোকেদের নিয়ে ছিলাম। অতর্কিতে এলাকার তৃণমূল কর্মী কার্তিক ঘোষ, সজল ঘোষ, যুধিষ্ঠির ঘোষরা হামলা চালায়। মাকে সামনে পেয়ে টাঙ্গি দিয়ে মাথায় কোপ মারে। আমাকেও পেটায়।” পরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান। পাত্রসায়র ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বংশীবাবু এলাকার কিছু সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব শুরু করেছেন। এ দিনের হামলার নেতৃত্বেও ছিলেন তিনিই।” যদিও বংশীবাবু সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “যারা মার খেয়েছে, তারা সিপিএমের লোক। স্নেহেশবাবু এখন সিপিএমের লোকেদের নিয়েই রাজনীতি করছেন। মারধরের ঘটনার সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই ঘটনায় গ্রামের তিন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা সিপিএম সমর্থক বলে স্নেহেশবাবুর দাবি।
|
বিদ্যুতের লাইন মেরামতির কাজ করার সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ওই দফতরের এক ঠিকাকর্মীর। মৃতের নাম হারাধন সরেন (৪৬)। বাড়ি রঘুনাথপুরের সরাকডি গ্রামে। আদ্রার বেনিয়াসোলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। লাইন মেরামতি করার সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কথা। অথচ কী করে এমন ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদ্রা গ্রুপ বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরের এস এম অজিত কুণ্ডু জানান, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |