ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানা এলাকা থেকে মরিয়ম বিবি নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি ওই এলাকেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। সে দিদির বাড়িতে থাকত। পুলিশের দাবি, জেরায় মরিয়ম স্বীকার করেছে যে, সিপিএম নেতা নজরুল শেখের কথামতোই সে মহিউদ্দিন মোল্লাকে ফোনে ডেকে পাঠায়। প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন, রবিবার রাতে দেগঙ্গা থানার ঝিকুরিয়া গ্রামের কাছে খুন হন মহিউদ্দিন। তদন্তে নেমে ওই রাতেই পুলিশ বাপি নামে মহিউদ্দিনের এক সঙ্গীকে আটক করে। পুলিশের দাবি, জেরায় বাপি জানায়, কাশীপুর থানা থেকে বের হওয়ার পরে মহিউদ্দিনের মোবাইলে এক মহিলা ফোন করেন। এর পরেই মহিউদ্দিন মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, তিন মাস আগে ভাঙড়ে এক তৃণমূল-কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক নজরুল শেখ নামে স্থানীয় এক সিপিএম নেতার সঙ্গে এলাকায় মহিলাদের একটি হস্টেল তৈরিতে সিমেন্ট বালির বরাত নিয়ে বিবাদ চলছিল মহিউদ্দিনের। মহিউদ্দিনের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, দেগঙ্গা থেকেই ওই মহিলা ফোন করেছিলেন। তা ছাড়া নজরুলের মোবাইলের সূত্রে ধরেও জানা যায় যে, সে ওই সময় ওই এলাকায় ছিল।
|
কর্মক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করায় বরখাস্ত করা হল উত্তর ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে। দুর্নীতির অভিযোগে আরও ৫ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এক ব্লক আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) প্রভাস ঘোষ বলেন, “বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দফতরের বেশ কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে কারও দোষ প্রমাণিত হলে সে সব ক্ষেত্রেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জমি অধিগ্রহণ, জমির চরিত্র বদল থেকে শুরু করে জলাশয় ভরাটের ব্যাপারে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল। রাজারহাটে হিডকোর জমি বিতর্কের পাশাপাশি বেদিক ভিলেজ কাণ্ডের সময়েও স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি দখল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। জমি কেনাবেচা ও জমির চরিত্র বদলের প্রশ্নে নানা দুর্নীতির প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে চলে আসে। ব্যারাকপুর, বারাসত, দেগঙ্গা ও মিনাখাঁয় জমির চরিত্র বদল থেকে শুরু করে কৃষিজমি অধিগ্রহণ নিয়েও জলঘোলা হয়েছে। দফতর সূত্রের খবর, যে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাঁর সমস্ত নথিপত্রই ছিল জাল। বিভিন্ন পরীক্ষার জাল শংসাপত্র দেন তিনি। বয়সের প্রমাণপত্রও ছিল ভুয়ো। মিনাখাঁর দু’জন, দেগঙ্গার দু’জন এবং ব্যারাকপুর ২ ব্লকের এক কর্মীকেও দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিএলএলআরও পর্যায়ের কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলার ২২টি ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিভিন্ন কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে যে সব অভিযোগ উঠেছিল, সেগুলিরও তদন্ত হচ্ছে।
|
ডাকাতির আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল তিন ডাকাত। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের কাছে মাতলা নদীতে সোনাখালি এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাসন্তী ও গোসাবা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি বন্দুক ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের নাম মহম্মদ আনার আলি পুরকাইত, আমিরুল পুরকাইত ও সাকিন মোল্লা। তাদের বাড়ি ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এলাকায়। |