বাঁধে ফাটল, ভাঙল মাটির বাড়ি
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ
নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে টানা বৃষ্টি ও প্রবর ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছ এলাকায় ক্ষতি হয়েছে নদীবাঁধের। বিশেষ করে নামখানা, বাসন্তী, গোসাবা, সন্দেশখালিতে বেশ কিছু জায়গায় নদীবাঁধে ফাটল ধরেছে এবং কোনও কোনও জায়গায় নদীবাঁধ বসে গিয়েছে। সেচ দফচরের বাস্তুকারদের অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কোথাও কোনও বড় রকম ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। কিছু জায়গায় ত্রাণও পাঠানো হয়েছে।
ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলার কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা ও পাথরপ্রতিমা ব্লকে দু’হাজার মাটির বাড়ি আংশিক এবং ৫০০ মাটির বাড়ির সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে চাল, ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পাঠানো হবে।”
মুড়িগঙ্গার ভাঙন। নামখানার উত্তর নারায়ণগড় গ্রামে। ছবি তুলেছেন দিলীপ নস্কর।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকায় কয়েকটি জায়গায় গ্রামবাসীরা তৎপর হওয়ায় রক্ষা পেয়েছে নদীবাঁধ। বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি, রমাপুর, স্কুলবাড়ি, জগন্নাথঘাট, সর্দারপাড়া, নটবরঘাট-সহ কয়েকটি জায়গায় কালিন্দী এবং রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক। ইতিমধ্যে ওই সব এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাহায্যে গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে নদীবাঁধে মাটি ফেলেছেন। যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের জগন্নাথঘাটের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা বাঁধ মেরামতিতে নেমে পড়েছেন।
যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান মুরারী মণ্ডল বলেন, “এলাকার কয়েকটি জায়গায় নদীবাঁধের অবস্থা রীতিমত বিপজ্জনক। পঞ্চায়েতের সাহায্যে এলাকার মানুষ নিজেরাই বাঁদে মাটি ফেলায় কোনওরকমে বাঁধ রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু এখনও বাঁধ সারাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। না হলে এ ভাবে বাঁধ কতক্ষণ বাঁচানো যাবে তা বলা শক্ত।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি ব্লকের মসজিদবাড়ি এলাকায় বেতনি নদীর বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। বনগাঁয় পার্থসারথি নন্দীর তোলা ছবি।
পূর্বভোলাখালিতে ১০০ ফুট মতো এলাকায় নদীবাঁধে ধস নেমেছে। সন্দেশখালি-১ ব্লকের সেহেরা-রাধানগর পঞ্চায়েত এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। আয়লায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষের আজও আশ্রয় পলিথিন শিটের তাঁবু। প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে সেই তাঁবুও উড়ে যাওয়ায় োই সব মানুষগুলি এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সেহেরা-রাধানগর পঞ্চায়েতের প্রধান গীতা মণ্ডল বলেন, “এসাকার শতাধিক মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিডিও কাছে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ চাওয়া হয়েছে।”
সন্দেশখালি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সবাপতি স্বপ্ন খণ্ডিত বলেন, “খুলনাবাজার, দ্বারিকজঙ্গল, শীতলিয়া, ঝুপখালি-সহ কোড়াকাটি পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু জায়গায় নদীবাঁধের অবস্থা খারাপ। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বাঁধ বাঁচাতে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। মনিপুরের জয়গোপালপুর গ্রামে মাটির বাড়ি ভেঙে এক মহিলা ও শিশু-সহ দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ত্রাণের জন্য বিডিওকে বলা হয়েছে।”
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.