|
|
|
| |
| বিরামহীন বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দুই জেলা |
| নিজস্ব প্রতিবেদন |
সকাল থেকেই মুষল ধারায়। দুপুরে দিকে দাপট ঈষৎ কমে এলে মনে হয়েছিল, এ বার বোধহয় ধরে এল। হয়নি। শেষ বিকেল থেকে ফের নাগাড়ে ঝিরঝিরে।
শুক্রবার নদিয়া-মুর্শিদাবাদ দুই জেলার জনজীবন বৃষ্টির ছায়ায় এমনই আবছা-অস্পষ্ট। প্রবল ভাবে বিপর্যস্তও। দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ায় রাস্তায় লোকজন নেই। অফিস-কাছারিতে হাজিরা ঝপ করে পড়ে গিয়েছে শূন্যের কাছাকাছি। কলেজে ফর্ম জমা দেওয়ার ভিড়ও সকাল থেকেই ক্ষিণ। বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চলাচলও অনিয়মিত। রাস্তায় বহুক্ষণ পরপর দেখা গিয়েছে ভিড়-হীন বাস।
কৃষ্ণনগর শহর যেমন, জল-কাদায় মাখামাখি হয়ে পড়ে রয়েছে দিনভর। লোকজন নেই। দোকানপাট বন্ধ। সকাল থেকে ট্রেন চলাচল থমকে গিয়েছে দফায় দফায়। দুপুরে তা সামান্য স্বাভাবিক হলেও যাত্রী কোথায়? কৃষ্ণনগরের সহকারী স্টেশন ম্যানেজার রজত রায় বলেন, “বৃষ্টিতে শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর শাখায় ট্রেন চলাচল কিছুটা হলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।” নদিয়া জেলার যে সমস্ত কলেজে এখনও প্রথম বর্ষের ফর্ম জমা দেওয়া-নেওয়ার কাজ চলছে, বৃষ্টিজনিত কারণে সেই সমস্ত কলেজে ফর্ম জমা দিতে আসা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। করিমপুর পান্নাদেবী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল হক বলেন, “সকাল থেকেই একটানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অন্য দিনের তুলনায় এদিন কলেজে ছাত্র সংখ্যা ছিল কম। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।” জেলার অন্যান্য কলেজেও ছবিটা প্রায় একই রকম। কৃষ্ণনগর (সদর) মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উপস্থিতির হার অবশ্যই কম ছিল।” |
 |
বৃষ্টির দিনে। দিনভর সুনসান কৃষ্ণনগর শহর। রাস্তায় লোকজন নেই। দোকানপাট বন্ধ।
সারি সারি রিকশা অপেক্ষায় সওয়ারির। ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ভট্টাচার্য। |
কান্দি-বহরমপুর সংযোগকারী দ্বারকা নদীর উপরে রণগ্রাম সেতু সংস্কারের কাজ চলছে। গত দু-দিনের বৃষ্টিতে ওই সেতু সংস্কারের কাজে দারুণ ভাবে ব্যাঘাত ঘটেছে। আগামী ১৩ জুন থেকে ওই সেতু সংস্কারের কাজ চলছে। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে ওই সেতু সংস্কারের কাজ শেষ করে ফেলার কথা ছিল পূর্ত দফতরের। কিন্তু এক টানা বৃষ্টি কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করায় ওই সময়ের মধ্যে তা কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
সকাল থেকে মুষল ধারায় বৃষ্টি হওয়ায় কলকাতাগামী বাস কিছুটা হলেও কম চলেছে। সকাল থেকে বিরামহীন বৃষ্টিতে বাসে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। ফলে দুপুরের পর থেকে জেলার বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল কমে যায়। বাস মালিক সমিতির পক্ষে রথীন মণ্ডল বলেন, “এমনিতেই রণগ্রাম সেতুর কারণে বধর্র্মান, আসানসোল, বোলপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তার উপরে এই আবহাওয়ায় কলকাতা রুটে বেশ কিছু চলাচল করেনি। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও বৃহস্পতিবারের ঘটনার জেরে এদিন বেলডাঙা রুটে বাসও কম চলেছে।” |
|
|
|
|
|
