|
|
|
|
দিল মহম্মদ জেল-হাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছোট আঙারিয়া মামলায় অভিযুক্ত দিল মহম্মদকে আরও ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল মেদিনীপুর আদালত। শুক্রবার সিজেএমের এজলাসে হাজির করানো হয়েছিল দিলকে। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু তা নাকচ করে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সৌনক মুখোপাধ্যায় দিল মহম্মদকে ফের ১ জুলাই আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ দশ বছর ‘ফেরার’ ছিলেন গড়বেতার সিপিএম কর্মী দিল মহম্মদ। গত ১৫ মে খড়কুশমা থেকে অস্ত্র আইনের পুরনো একটি মামলায় তাঁকে ধরে পুলিশ। ততদিনে রাজ্যে পালাবদল হয়ে গিয়েছে। ফলে, ছোট আঙারিয়া মামলা নতুন করে প্রাণ পায়। মামলার পুনর্তদন্ত শুরু করে সিবিআই। দিল ৭ দিন সিবিআই হেফাজতেও ছিলেন। ইতিমধ্যে মেদিনীপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন ছোট আঙারিয়া মামলার মূল অভিযোগকারী বক্তার মণ্ডল এবং দুই প্রত্যক্ষদর্শী রফিক মণ্ডল ও শেখ হাবিবুল। এ দিনই অভিযুুক্ত পক্ষের হাতে চার্জশিটের কপি ধরানোর কথা ছিল। কিন্তু সিবিআই সূত্রের খবর, এই মামলায় আরও নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তাই চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে না। প্রয়োজনে ‘সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট’ও দেওয়া হতে পারে। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাপস বসু বলেন, “ঘটনার পুনর্তদন্ত চলছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।”
এ দিনই জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে অভিযুক্ত ১৯ জনেরও হাজিরার দিন ছিল মেদিনীপুরে আদালতে। বিচারক আগামী ১ জুলাই ফের তাঁদের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় মোট ২৩ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু জয়দেব মাহাতো, জয়ন্ত ভক্তা ও বচন মান্নাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। ওই তিন জনের নামে ইতিমধ্যেই হুলিয়া জারি করেছে সিবিআই। ১ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই সময়ের মধ্যে ওই তিন জন আদালতে হাজির না হলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আবেদন জানানো হবে। |
|
|
|
|
|