|
|
|
|
বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি পশ্চিমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সবে বর্ষা এসেছে। তবে এ বার বন্যা মোকাবিলায় আগাম সতর্ক পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিডিওদের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক’দিন আগে কালেক্টরেটে বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ব্লক-স্তরে বৈঠক করে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করতে হবে। জেলা প্রশাসন তা খতিয়ে দেখে কাজ শুরুর সবুজ সঙ্কেত দেবে। নির্দেশ মতো ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছেন বিডিওরা। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে বাঁধ সংস্কার জরুরি, সেগুলো সংস্কার করা হবে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
প্রতি বছরই ভারী বৃষ্টিতে ঘাটাল, দাসপুর, সবং, পিংলা, নারায়ণগড়-সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বাঁধ ভাঙে। নদীর জল গৃহহারা করে বহু মানুষকে। ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা দেয়। অভিযোগ, অধিকাংশ জমিদারি বাঁধ সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। ফলে সামান্য জলের চাপেই সেগুলো ভেঙে যায়। তার উপরে বর্ষার সময়ে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অভিযোগ, সেচ দফতরের উদাসীনতার ফলেই জেলার একাংশ এলাকা বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বহু মানুষ ঘর ছাড়েন। দু’বছর আগের বন্যায় জেলায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কেশপুর, মেদিনীপুরের যে সব এলাকায় বর্ষায় সাধারণত জল দাঁড়ায় না, সেই সব এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। জল নামতেও সপ্তাহ গড়িয়ে যায়। বুধবার থেকেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। জেলা জুড়েই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। নদীতে জলও বাড়তে শুরু করেছে। সামনে পড়ে পুরো বর্ষার মরসুম। বন্যার আশঙ্কা থাকছেই নদী-নালার জেলায়। আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। তবে তাঁদের দাবি, বন্যা-প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্ক বা উদ্বেগের কিছু নেই। পরিস্থিতির উপরে সব সময়েই নজর রাখা হচ্ছে।
জেলা পরিষদের সেচ ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমীর হাজরা বলেন, “জেলা-স্তরে বৈঠক হয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কোন কোন কাজ শুরু করা জরুরি, অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির সময়ে সে দিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। হঠাৎ করে জল বাড়লে যাতে গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত না-হন, সে জন্যও বিভাগীয় আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশে মতো ব্লকস্তরে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরির কাজ চলছে। জেলাশাসকের কথায়, “বন্যা নিয়ন্ত্রণে আগাম সব ধরনের প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|