দরশকের চাপে পিছিয়ে গেল ফুটবল ফাইনাল। ক্রিকেটের রমরমার সময়ে এই বিপরীত ছবি দেখা গেল বারুইপুরের রাসমাঠে। সম্প্রতি আট দলের নকআউট এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল বারুইপুরের রিয়াল স্টার ক্লাব।
নৈশালোকে ফাইনাল ম্যাচের দিন অতিরিক্ত দর্শকের চাপে ম্যাচ বন্ধ করে দিত হয়। পরের দিন খেলা হয়। গত বারের চ্যাম্পিয়ন কসবা নব যুব সঙ্ঘ এ বারও ফাইনালে ওঠে। অন্য দিকে, ফাইনালে ওঠে ডায়মন্ড হারবার সাব ডিভিশনাল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। শুরু থেকেই আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণে খেলা জমে উঠেছিল। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেননি কসবার ফুটবলাররা। অল্প সময়ের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের মৃগাঙ্ক বিশ্বাস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের পাপাই দাস। ম্যাচের একে বারে শেষে তৃতীয় গোলটি করে জয় নিশ্চিত করেন নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার স্যামসং।
|
ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে কসবার প্রিয়ন্ত সিংহ প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন। রাত ন’টায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও মাঠ জুড়ে অসংখ্য মানুষের ভিড়। দর্শক-মনোরঞ্জনের জন্য ছিল আতসবাজির প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তিনটি শিশুর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হয়। আয়োজক ক্লাবের সম্পাদক সোমনাথ মিত্র বললেন, “আট বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা চলছে। এই প্রতিযোগিতার অর্থ থেকে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য করা হয়।”
ক্লাবের এক সদস্য সেলিম হোসেনের কথায়: “শুধু ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজনই নয়, ১০ থেকে ১৪ বছরের ২০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে রাসমাঠে একটি ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরও চালু করেছি। প্রশিক্ষক আশিস দেবরায় ছাড়াও প্রাক্তন ফুটবলার অমিত দাস ছোটদের ফুটবল শেখাতে আসছেন।” ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী, বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমেদ মির প্রমুখ। |