আলোর প্রয়োজন। কিন্তু সেই আলো জ্বালাতে গিয়ে ভাঁড়ারে টান পড়ছিল। তাই বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুতের আলোর ব্যবহার শুরু করল মহেশতলা পুরসভা। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, এতে পুরসভার খরচ কমবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, মহেশতলায় আলো লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দিনের পরে দিন বেড়েই চলেছিল। ২০০৯-১০-এ খরচ ধরা হয়েছিল ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু পুরসভার পক্ষে এই খরচ করা কঠিন হয়ে পড়ছিল। তখন বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজার দিকে নজর দেয় পুরসভা। বিশেষ করে বস্তি অঞ্চলের জন্য।
|
মহেশতলার বস্তি অঞ্চলে বিদ্যুতের লাইন নেই। লাইন নিয়ে বস্তিকে আলোকিত করার খরচও বেশি। তখন সৌরবিদ্যুৎকে কাজে লাগানোর কথা ওঠে। প্রাথমিক ভাবে ৯টি ওয়ার্ডে ৮০০টি এ রকমের আলো লাগাচ্ছে পুরসভা। পরিকল্পনা অনুযায়ী মহেশতলা জুড়ে ৩৫০০টি আলো লাগানো হবে। প্রতিটি আলোক স্তম্ভের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের থেকে ভর্তুকি পাওয়া যাবে। ফলে পুরসভার বিশেষ খরচ হবে না। কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই সৌর আলো লাগানো হয়েছে। যেমন, ব্যানার্জিহাট। এখানে পার্কে ও রাস্তায় আলো বসেছে। পার্কের আলোর ব্যবস্থা হওয়ায় অনেকে সন্ধ্যায় পার্কে বেড়াতেও আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দা বিমান মণ্ডল বলেন, “আগে রাতে বেরোতে সমস্যা হত। সৌর আলো বসার পরে খুবই সুবিধা হয়েছে। সন্ধ্যায় পার্কে ঘুরতেও যেতে পারছি।” |
পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেন, “আমাদের বিদ্যুতের জন্য খরচ হবে না। এই প্রকল্পে আমাদের সাহায্য করছে রাজ্য সরকারের সংস্থা ওয়েবরেডা। ওরা বাতিস্তম্ভগুলি লাগাচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে প্রত্যেক ওয়ার্ডে শিক্ষিত ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এর ফলে পুরসভার অর্থ সাশ্রয় হবে।”
মহেশতলার নব নির্বাচিত বিধায়ক কস্তুরী দাস বলেন, “মহেশতলা জুড়ে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো হবে। যে সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি সেই সব অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিতে চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ করেছি।” |