রাস্তাটি আদপে ২০ ফুটের। কিন্তু যান চলাচল ও পথচারীদের জন্য রয়েছে মাত্র ১০ ফুট। বাকি অংশ চলে গিয়েছে ব্যবসায়ীদের দখলে। ফলে রাস্তার এই অংশ পার হতেই দীর্ঘ ক্ষণ লেগে যায়। এমনই অভিযোগ বাখরাহাট রোডে ঠাকুরপুকুর বাজার দিয়ে যাতায়াত করা নিত্যযাত্রী ও বাসিন্দাদের।
বাসিন্দারা জানান, এক সময়ে মাত্র ৩০টি দোকানের ছোট্ট বাজারটি এখন কলেবরে বেড়ে বাখরাহাট রোডের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসে। সকাল-সন্ধ্যা এই বাজারটির জন্য বাখরাহাট রোডের এই অংশ দিয়ে যাতায়াত করা দক্ষিণ শহরতলির বাখরা, বিবিরহাট, সাতগাছিয়া, রায়পুর, বিষ্ণুপুর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিত্যযাত্রীদের নাভিশ্বাস ওঠে। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা অফিসের সময়ে পার হতে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা লেগে যায়। |
এলাকার মানুষের অভিযোগ, বাজারটি দিন দিন বাড়ছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন ভবানীপুরের একটি কলেজে পড়াতে আসেন মুচিশার সর্বাণী দত্ত। তাঁর কথায়: “গোটা রাস্তা ঠিকমতো আসার পরে ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে গাড়ি থমকে যায়। এটুকু পার হতেই প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায়। হাতে বাড়তি সময় নিয়ে বের হই। ” স্থানীয় ব্যাঙ্ক চাকুরে তুষার পাত্র বললেন, “এ সমস্যা সহজে মেটার নয়। রাস্তা চওড়া না হলে সমস্যা মিটবে না।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এখানে বাজার করতে আসেন। তাঁরা জানান, হাতের কাছে বাজার হওয়ায় অনেকেই এখানে বাজার করতে আসেন। বাজারটি কাছেই অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে গেলে ভাল হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক এবং কাউন্সিলরকে জানান হয়েছে। কিন্তু কিছুই হয়নি। বাসিন্দাদের দাবি, এখানে সুপার মার্কেট তৈরি করা হোক। |
স্থানীয় ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের ঘনশ্রী বাগের কথায়: “দিন দিন অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বিকল্প জায়গায় বাজারটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি বড় শিল্পাঞ্চলের প্রবেশপথ। সেটাকে মুক্ত করার প্রয়োজন।” শিল্পমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তা থেকে বাজারটি সরানোর চিন্তাভাবনা চলছে। ওখানে একটি আধুনিক বাজার তৈরি করার চিন্তাও আছে।”
সিপিএমের বেহালা (পশ্চিম) আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক মলয় রায়চৌধুরী বলেন, “বাজারে আমাদের কোনও কমিটি নেই। সব দল মিলে রাস্তাটিকে মুক্ত করতে হবে।” পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং মেয়র পারিষদ (রাস্তা) ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য: “রাস্তাটি পূর্ত দফতরের। তারাই বিষয়টি দেখবে।” এ ব্যাপারে পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সী বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |