|
|
|
|
কাটিচের হাল দেখে দুশ্চিন্তায় পন্টিং |
সংবাদসংস্থা • মেলবোর্ন |
সাইমন কাটিচের দশা দেখে রিকি পন্টিং একইসঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছেন, পাশাপাশি নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। আর শেন ওয়ার্ন এক রকম নিশ্চিত, কাটিচের মতো করুণ পরিণতি পন্টিংয়েরও যে কোনও দিন হতে পারে।
নিজেদের দেশের পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব তারকা ক্রিকেটারদেরও বয়সের দোহাই দিয়ে জাতীয় দল থেকে ছেঁটে ফেলার যে পন্থা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবলম্বন করেছে কাটিচকে বলি দেওয়ার মাধ্যমে, সেটা দেখে ওয়ার্ন চটে লাল। কিংবদন্তি প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় লেগ স্পিনার বলেছেন, “মনে হচ্ছে, পন্টিংয়েরও দিন শেষ হতে চলেছে।” ক্রিকেটমহলের ধারণা, গ্রেগ চ্যাপেল দল নির্বাচনের ব্যাপারে ক্ষমতাবান হওয়া মাত্র ভারতের মতো নিজের দেশের টিমেও তারুণ্য আমদানির ফর্মুলা নিতে শুরু করে দিয়েছেন। তারই ফল গত তিন বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ব্যাটিং গড় থাকা সত্ত্বেও কাটিচকে অস্ট্রেলিয়া দল থেকে ছাঁটাই করা। যা দেখে আবার ওয়ার্ন বলছেন, “আমার মনে হচ্ছে এ বার পন্টিংয়ের সঙ্গে ওরা (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) চেষ্টা করবে, লোকটার কাছ থেকে তো ক্যাপ্টেন্সিটা কেড়ে নিয়েছিই। এ বার দেখা যাক, শুধু ব্যাটস্যমান হিসাবে কেমন করে। দু’-একটা টেস্টে খারাপ করলেই দল থেকেও বাদ দিয়ে দেব!”
পন্টিং নিজেও যথেষ্ট আশঙ্কায়। এক বার বলছেন, “কাটিচ বাদ পড়ায় আমি শকড্!” তার পর আবার যোগ করেছেন, “এটা মাইক হাসি বা আমার মতো বছর ছত্রিশের ব্যাটসম্যানদের কাছে একটা কড়া নোটিস। এই ঘটনায় আমাদের পরিশ্রমের মাত্রাটা আরও বেড়ে গেল। এখন থেকে আরও কঠিন পরিশ্রম করতে হবে আমাদের।” পন্টিং স্বীকার করেছেন, তাঁর এবং মাইক হাসির পারফরম্যান্স এখন থেকে নির্বাচকদের নজরে থাকবে। ওয়ার্ন আবার বলেছেন, “কাটিচকে বাদ দেওয়াটা সহজ ছিল নির্বাচকদের কাছে। মিডিয়া অতটা হইচই করবে না। যেটা পন্টিংকে বাদ দিলে হত। কিন্তু কঠিন বাস্তব হল, পন্টিংয়ের থেকে কাটিচকেই এই মুহূর্তে বাদ দেওয়াটা কঠিন। শেষ ১৫ টেস্টে পন্টিংয়ের ব্যাটিং গড় ২৫। আর কাটিচের ঠিক দ্বিগুণ। ৫০!” |
|
|
|
|
|