|
|
|
|
রেফারেলে সব প্রযুক্তি একসঙ্গে চান সচিন |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
রেফারেল পদ্ধতির তিনি বিপক্ষে নন। কিন্তু সেই ইউডিআরএস-কে কার্যকর করতে হলে হটস্পট এবং স্নিকোমিটারের মতো প্রযুক্তিও দরকার বলে মনে করছেন সচিন তেন্ডুলকর।
চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি রেফারেল পদ্ধতির সমর্থনে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটবিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন কোচ গ্যারি কার্স্টেন। আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে রেফারেলের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। এবং সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে জলঘোলাও কম হচ্ছে না। সদ্য নিজের দেশের কোচের দায়িত্ব নেওয়া কার্স্টেনের মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ ধরছেন কেউ কেউ। ক্রিস ট্রেমলেট, গ্রেম সোয়ানরা একহাত নিয়ে রেখেছেন ভারতীয় বোর্ডকে। এই অবস্থায় রেফারেল পদ্ধতি নিয়ে মুখ খুললেন ‘লিটল মাস্টার।’ একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সচিন পরিষ্কার বলেছেন, “ইউডিআরএসের বিপক্ষে আমি নই। কিন্তু আমার মনে হয়, এই পদ্ধতিটা তখনই বেশি কার্যকর হবে যখন একইসঙ্গে স্নিকোমিটার আর হটস্পটের মতো প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে।”
আগামী জুলাইয়ের ইংল্যান্ড সফরে রেফারেল পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা উঠেছিল। কিন্তু হটস্পট ব্যবহারের কোনও ব্যাপার সেখানে ছিল না। তাই ভারতীয় বোর্ড ওই পদ্ধতি অবলম্বন করাকে খারিজ করে দিয়েছে। তবে সচিনের মনে হচ্ছে, যত রকম ক্রিকেট-প্রযুক্তি এখন নিয়ামক সংস্থার হাতে আছে, সবগুলোকে যদি ব্যবহার করা যায় তা হলে ক্রিকেটেরই উপকার হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রায় একশো শতাংশ নিখুঁত হওয়া যাবে। আর তাতে আখেরে লাভ রেফারেল পদ্ধতিরই।
রেফারেল পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক বিশ্বকাপের সময় থেকেই চলছিল। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি খোলাখুলি বলেছিলেন, ইউডিআরএস আদতে প্রযুক্তির অপব্যবহার। রেফারেল পদ্ধতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান এ দিন আরও একবার পরিষ্কার করে দিয়েছেন ভারতীয় বোর্ড। বোর্ড প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর বলেছেন, “আইসিসিকে আমরা তো বলেছি হটস্পট নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আপত্তি শুধু বল ট্র্যাকিং নিয়ে। কারণ পুরো ব্যাপারটাই সেক্ষেত্রে আম্পায়ারের ভাবনা বনাম অন্য আর একজনের মতামত হয়ে দাঁড়ায়।” |
|
|
|
|
|