|
|
|
|
হাতি বাঁচাতে বৈঠক মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুর দুয়ার |
ট্রেনের ধাক্কায় বুনো হাতির মৃত্যু ঠেকাতে আজ, শনিবার আলিপুরদুয়ারে রেলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। ওই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী হিতেন বর্মনও উপস্থিত থাকবেন। গত কয়েক বছর ধরেই আলিপুরদুয়ার থেকে মালবাজার হয়ে শিলিগুড়িগামী ট্রেন লাইনে বুনো হাতির মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত বছর বানারহাটের কাছে মরাঘাট এলাকায় মালগাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ৭টি বুনো হাতির। বুনো হাতির মৃত্যু ঠেকাতে বন ও রেল দফতরের পক্ষ থেকে নানা পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হলেও পরস্পরের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগও শেষ নেই। শনিবারের বৈঠকে ওই সমস্যা মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে। বনমন্ত্রী বলেন, “ট্রেনের ধাক্কায় বুনো হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঠেকাতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল বলে শুনেছি। ওই কমিটির পরামর্শ মানা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। রেল কর্তা এবং বন দফতরের অফিসারদের নিয়ে হাতির মৃত্যুর রুখতে যৌথ ভাবে কাজ করা হবে।” গত বছর বুনো হাতির মৃত্যুর পর পর কয়েকটি ঘটনার পরে বিশেষজ্ঞ কমিটির পক্ষ থেকে রেল লাইনের দু’পাশের ঝোপ কেটে ফেলা ছাড়াও হাতির গতিবিধির উপরে নজর রাখতে ওয়াচ টাওয়ার ও রেলের কন্ট্রোল রুমে বন কর্মীদের নিয়ে যৌথ নজরদারির প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সমস্ত পরামর্শ কতটা মানা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বনমন্ত্রী শনিবারের প্রস্তাবিত বৈঠকে এসবই খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুর দুয়ারের এডিআরএম ইন্দ্রজিৎ সিংহ বলেন, “রেলের তরফে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাব মেনে চলা হচ্ছে। শনিবারের বৈঠকে বনমন্ত্রীকে তা জানানো হবে।” বন দফতরের পক্ষ থেকে বৈঠকে ট্রেনে কাঠ পাচারের বিষয়টিও তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের পরে আলিপুরদুয়ার পুরসভার উদ্যোগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, বনমন্ত্রী এবং কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়কে সংবর্ধনা জানানো হবে। আলিপুর দুয়ার জেলা ঘোষণার দাবিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে একাধিক সংগঠন। |
|
উদাসীন বন দফতর ও রেল |
|
ছবি: দীপঙ্কর ঘটক। |
আট-ন’মাস আগে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ৭টি হাতির মৃত্যুর পরেও উদাসীন বন দফতর বা রেল। ২০১০ সালে ওই ঘটনায় রেলের জমিতে বেআইনি ভাবে চাষ করা ধানের লোভেই মরাঘাট জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সেখানে এসে জড়ো হয়েছিল হাতির পাল। দুর্ঘটনার পরেই তড়িঘড়ি রেল কর্তৃপক্ষ ও বন দফতরের কর্তারা মূর্তিতে একটি বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেন, লাইনের ধারে রেলের জমিতে হাতিরা খায় এমন কোনও শস্য চাষ করা যাবে না। কিন্তু তা কথার কথাই রয়ে গিয়েছে। যদিও এলাকাটি হাতিদের ‘করিডর’ বলেই পরিচিত। এই পথেই ভুট্টাবাড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চেল নদী পেরিয়ে কাঠামবাড়ি যাতায়াত করে হাতিরা। |
|
|
|
|
|
|