|
|
|
|
|
|
|
|
আপনার সাহায্যে... |
|
আপনার অসুখ সারান |
বস বকলে ভয় কী |
টেনশন হবে, মাথাও ধরবে। সামলানোর পদ্ধতি জানলে সেটা কোনও সমস্যাই নয়। বলছেন ডা. অনুপম দাশগুপ্ত |
টেনশন হলেই মাথা ধরে। ওষুধ না খাওয়া পর্যন্ত কমে না। কী করব? ভোর ভোর থাকতে একটু মর্নিং-ওয়াক করে দেখুন তো। আধঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট।
মর্নিং-ওয়াকে মাথাব্যথা কমে?
শরীর-মন রিল্যাকস্ হয়ে যায়। নিয়মিত করলে টেনশন সামলানো সহজ হয়। তার সঙ্গে মিনিট পনেরো ডিপ ব্রিদিং করলে ১৫ দিনে অনেকটা ফারাক বুঝবেন।
সমস্যা হল অফিসে। বসের যখন-তখন বকাবকি। তা কি আর এ সব করে কমে?
না। সমস্যা টেনশনকে নিয়ে। আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
কথা একই। তা সেটা কী এ সব করে কমবে?
অনেকটাই কমবে। সেই সঙ্গে কোনও সেন্টারে গিয়ে বায়োফিডব্যাক ট্রেনিং নিন।
সেটা কী?
রিল্যাক্স করার মতো পরিবেশে একটা মেশিনের সঙ্গে জুড়ে আপনাকে রিল্যাক্স করতে বলা হবে। ট্রেনারের নির্দেশে ধীরে ধীরে যত শান্ত হবে শরীর-মন, দেখবেন মেশিনের লাল আলোর তীব্রতা কমে তত তা যাচ্ছে সবুজের দিকে। ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট এ ভাবে রিল্যাক্স করলে দেখবেন টেনশন তত কমে গেছে।
বস বকলেও টেনশন হবে না?
আরে, বস বকলে টেনশন হয় না এমন মানুষ আছে? বাড়িতে পথে-ঘাটে সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে টেনশন। তবে এ সব পদ্ধতি নিয়মিত করতে পারলে দেখবেন টেনশন সামলানো অনেক সহজ হবে। তার সঙ্গে ভাবনা-চিন্তা বদলাতে পারলে তো হয়েই গেল।
কী রকম?
একই ঘটনায় দু’ জন মানুষের তো সমান টেনশন হয় না। আপনি ঘটনাকে কী ভাবে নিচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করে টেনশন হবে কি হবে না। এই নেওয়ার ব্যাপারটা একটু বদলাতে পারলেই তো হল।
তা কীরে সম্ভব? যে যে রকম, সে তো সে রকমই।
একেবারেই না। চাইলে আপনিও আমূল বদলে যেতে পারেন।
কী ভাবে?
কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি করে।
সেটা কী?
কোন ঘটনাকে কী ভাবে দেখছেন বা টেনশন হচ্ছে তা বুঝেই অন্য ভাবে দেখতে শেখানো।
এ রকম হয় বুঝি?
অবশ্যই হয়। প্রথমে নিজে চেষ্টা করুন, না পারলে কাউন্সেলরের কাছে শিখে নিন।
তা হলেই মাথা-ব্যথার হাত থেকে ছুটি?
শোওয়া-বসার ধরণ ঠিক রাখতে পারলে প্রায় ছুটিই বলতে পারেন।
শোওয়া-বসার ধরনের সঙ্গেও মাথা-ব্যথার যোগ আছে?
নিশ্চয়ই। যাকে টেনশনের মাথা-ব্যথা ভাবছেন, তা ভুল ভাবে বসার জন্যেও হতে পারে। খুলে বলুন।
সারা দিন নিশ্চয়ই কম্পিউটরে কাজ? কী ভাবে বসেন? মনিটর চোখের লেবেলে থাকে কি? ঘাড় গুজে কি-বোর্ডে কাজ করেন? প্রশ্নগুলোর উত্তর হ্যাঁ হলে ঝামেলা আছে।
এতে তো ঘাড়ে ব্যথা হয়?
সেই ব্যথা মাথায় ছড়াতে পারে। বেশি শক্ত বা বেশি নরম বালিশে শুলেও একই ব্যাপার।
তা হলে বুঝব কী করে কেন ব্যথা হচ্ছে?
নব্বই শতাংশ মহিলার মাথা-ব্যথার কারণ হল টেনশন। ছেলেদের সংখ্যা একটু কম। আজকের দিনে শোওয়া-বসার দোষে মাথা-ব্যথাও কম নয়। অনেকের দু’টো এক সঙ্গেই থাকে।
তা হলে তো মহা বিপদ?
উ: হ্যা।
ওষুধ লাগে না?
খুব ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খাবেন। ঘুমের অসুবিধা থাকলে একটা অ্যালপ্রোজোলাম।
ওষুধে অভ্যেস হয়ে যাবে না?
মাসে ১৫ দিনের কম সমস্যা হলে জীবন যাপন বদলে দিলেই ওষুধের প্রয়োজন অনেক কমে যাবে। কিন্তু বেশি দিন চললে চিন্তার কথা। এদের প্রায় সময়ই ডিপ্রেশন থাকে। অ্যান্টিডিপ্রেশেন্ট দিলে ভাল কাজ হয়।
এ সবের আড়ালে বড় রোগ দেখা দিলে?
ব্রেন টিউমারের কথা ভাবছেন? এর চান্স কম। হলে ধরা তত কঠিন নয়। চিকিৎসাও খুব ভাল। তবে মাইগ্রেন আছে কিনা এক বার দেখে নেওয়া দরকার।
অর্থাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা?
লাগেই না প্রায়।
|
যোগাযোগ-২৪৬৪-২৭২৮
সাক্ষাৎকার: সুজাতা মুখোপাধ্যায় |
|
|
|
|
|