|
|
|
|
তরজা চলছেই, গডকড়ীকে ফের বিদ্রুপ কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আক্রমণকেই আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ নীতি করতে চাইছে কংগ্রেস।
বিজেপির আক্রমণের জবাবে যতটা সম্ভব কড়া ভাষায় পাল্টা আক্রমণে যাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। তার ফলে কংগ্রেস-বিজেপির তরজা রাজনৈতিক শালীনতা ছাড়াচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী কলকাতায় গিয়ে সনিয়া গাঁধীর সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, দুর্নীতি দমনে সনিয়া যে প্রত্যয় দেখাচ্ছেন, তা সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির মতোই। দু’টিরই বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। সেই আক্রমণের জবাবে জয়ন্তী নটরাজন প্রথমে গডকড়ীকে ‘নর্দমার আবর্জনা’-র সঙ্গে তুলনা করেন। তার পরেও তাঁকে ‘আরএসএসের হাতের পুতুল’ থেকে শুরু করে ‘রাজনৈতিক বামন’, কিছুই বলতে বাকি রাখেননি। আর এক কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ গডকড়ীকে ‘জোকার’ ও নিষ্কর্মা বলে অভিহিত করেন।
এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক হরিপ্রসাদের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। দলের অভিযোগ, এর আগে হরিপ্রসাদ বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজকে ‘ভূতের সঙ্গে নৃত্য’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, সুষমা রাজঘাটে গিয়ে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নেচেছিলেন। বিজেপির বক্তব্য, হরিপ্রসাদের এই বক্তব্য লজ্জাজনক। বিজেপির অভিযোগ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে রাজি নয় কংগ্রেস। উল্টে কংগ্রেসের শিবির থেকে বলা হচ্ছে, গডকড়ী বা সুষমার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তাতে কোনও ভুল নেই। আজ আবার বিজেপির মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদও বলেছেন, বিজেপি-সভাপতি গডকড়ী সনিয়ার সমালোচনা করে ভুল করেননি। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতিতে অভ্যস্ত। তাই গডকড়ীর মতো কেউ সাধারণ কর্মী থেকে দলের সভাপতির পদে উঠে এলে তারা কখনই তা মেনে নিতে পারে না। তাঁকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেস যা সব বলছে, তাকে ‘লজ্জাজনক, নিম্ন মানের এবং অসভ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন রবিশঙ্কর। তাঁর দাবি, টু-জি থেকে শুরু করে আদর্শ আবাসন বা কমনওয়েলথ গেমসের মতো দুর্নীতির মামলায় সনিয়া কেন চুপ করে রয়েছেন, তার জবাব দিন। |
|
|
|
|
|