গ্যাস-কাণ্ডে একসুর সিপিএম
জোশীর নিশানা সেই চিদম্বরম
টু-জি স্পেকট্রাম নিয়ে কিছুটা হতোদ্যম হলেও হাল ছাড়ছেন না বিজেপি-র প্রবীণ নেতা মুরলীমনোহর জোশী। এ বার গ্যাস-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের অপসারণের দাবি তুললেন তিনি। বিজেপি-র সুরে সুর মিলিয়ে আক্রমণাত্মক হল সিপিএমও।
পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে টু-জি স্পেকট্রাম তদন্ত যে পথে চালাতে চেয়েছিলেন, মূলত কংগ্রেসের বাগড়ায় তা সম্ভব হয়নি। টু-জি তদন্ত নিয়ে তাঁর রিপোর্ট গত পিএসি-তে খারিজ হয়েছিল আগেই। স্পিকার মীরা কুমারও সম্প্রতি ফেরত পাঠিয়েছেন সেই রিপোর্ট। জোশী এ বার সরব কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের ফাঁস হওয়া খসড়া রিপোর্ট নিয়ে। যাতে অভিযোগ রয়েছে, রিলায়্যান্স-সহ কিছু বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। দ্বিগুণ গ্যাস উত্তোলনের জন্য খরচের পরিমাণ চার গুণ বাড়িয়েছে কিছু বেসরকারি সংস্থা। যার ফলে সরকারকে বেশি ভর্তুকি দিতে হয়েছে। ঘাটতি হয়েছে রাজকোষে। সিএজি-র রিপোর্ট পেশ হলে তা পিএসি-র কাছে আসবে। জোশী বুঝিয়ে দিয়েছেন, সরকার রিপোর্ট পেশে দেরি করলেও পিএসি এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিতে পারে। এবং চলতি মাসেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পিএসি।
জোশী জানেন, স্পিকারের ফেরত পাঠানো টু-জি রিপোর্টটির আর ভবিষ্যৎ নেই। কিন্তু গ্যাস-দুর্নীতির প্রশ্নে ফের রক্তের স্বাদ পেয়েছে বিজেপি। পিএসি-র চেয়ারম্যান হয়েও জোশী আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি-র সদর দফতরে। সিএজি-র রিপোর্ট ফাঁস হওয়া নিয়ে তদন্তের দাবি করেন। হুমকি দেন অধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়ারও। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও জানিয়েছেন, সংসদের বাদল অধিবেশনে তাঁরা এ নিয়ে সরব হবেন। তাঁর মতে, এই গ্যাস দুর্নীতি এবং সিএজি-র খসড়া রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার দায় এড়াতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও।
বিরোধীদের মতিগতি বুঝে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বিষয়টি লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেন আজ। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, জোশী সিএজি-র বিষয়টিই বোঝেননি। সিএজি-র কাজ তদন্ত করা নয়। তারা এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের রিপোর্ট চেয়েছে। মন্ত্রক তার জবাব দেবে।
জোশীর আশঙ্কা, টু-জি-র চেয়েও বড় অঙ্কের দুর্নীতি হয়েছে গ্যাস নিয়ে। কারণ, কতটা গ্যাস উত্তোলন হয়েছে, তার ভিত্তিতে রাজকোষে ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণ হবে। আর এ ক্ষেত্রেও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম তাঁর দায় এড়াতে পারেন না। সিপিএম অবশ্য দায় চাপিয়েছে আমলাদের ঘাড়ে। সীতারামের মতে, নিয়ন্ত্রক হিসেবে হাইড্রোকার্বনের মহানির্দেশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ২০০৬ সালেই রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ তপন সেন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিন বার চিঠিও লেখা হয় সরকারকে। জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীকেও। অর্থনীতি বলে, উৎপাদন বাড়লে খরচ কমে। এ ক্ষেত্রে তার উল্টাটা ঘটার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা সরকার দেয়নি।
Previous Story Desh Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.