|
|
|
|
রাজ্যে শিল্প নিয়ে আশায় আমেরিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিকাঠামো নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে। তবু নতুন সরকার রাজ্যে শিল্পায়নের সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদী মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রবার্ট ব্লেক। শুক্রবার সকালে সিআইআই-এর এক সভায় এই আশার কথা জানান তিনি। পরে দুপুরে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর সঙ্গে বৈঠকও করেন। ব্লেকের সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল বেথ পেন। লগ্নিকারীদের মনে রাজ্যের ভাবমূর্তির সমস্যা নিয়ে এ দিন সিআইআই-এর সভায় প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রসঙ্গেই ব্লেক পরোক্ষে পরিকাঠামোর সমস্যার কথা তোলেন। তাঁর বক্তব্য, লগ্নি টানতে গুজরাত ও দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে পশ্চিমবঙ্গকেও। সে ক্ষেত্রে শিল্পের ভাল পরিকাঠামো গড়ে তোলা একান্ত জরুরি। নতুন সরকার শিল্পের অনুকূল পরিবেশ গড়তে সক্ষম হবে বলেই তাঁর আশা। ব্লেক বলেন, “অমিত মিত্র-সহ এই মন্ত্রিসভার অনেকেই আমার পরিচিত। আমি মনে করি, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” |
|
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রবার্ট ব্লেক। মহাকরণে শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র |
মহাকরণে প্রথমে অমিতবাবু ও পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লেক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে ব্লেক জানান, এটি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎকার। তবে পশ্চিমবঙ্গে মার্কিন বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়েছে বৈঠকে। এ রাজ্যে খনি শিল্পের পাশাপাশি, শিক্ষা, কৃষি ও পর্যটন ক্ষেত্রে মার্কিন শিল্পমহল লগ্নির কথা ভাবতে পারে বলে জানান তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও দু’জনে কথা হয়। ব্লেক জানান, মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আমেরিকা সফরে যাওয়ার জন্যও এ দিন আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্লেক।
মার্কিন-কর্তার মতে, রাজ্যের ভাবমূর্তি নিয়ে আম-মার্কিনীর সংশয় থাকতে পারে। কিন্তু মার্কিন শিল্প মহল জানেন, এ রাজ্যে অনেক কিছু হচ্ছে। এ রাজ্যে মার্কিন লগ্নির সাফল্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি পেপসিকো-র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পের প্রসঙ্গ তোলেন। ব্লেক জানান, ২০০৪-এ প্রকল্পটি চালু হওয়ার সময় সেখানে ১৪০ জন কৃষক যুক্ত ছিলেন। এখন সংখ্যাটা ১২ হাজারেরও বেশি। |
|
|
|
|
|