প্রতিদিন হাসপাতালে রক্তের প্রয়োজন হয় ৩০ বোতল। অথচ রবিবার হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত ছিল দুই বোতল। ‘এ’, ‘বি’, ‘ও’, ‘এবি পজিটিভ’ এবং ‘এবি নেগেটিভ’ গ্রুপের কোনও রক্ত ছিল না হাসপাতালে। রক্তের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে দেখা যায় রোগীর আত্মীয়দের। অনেককে ফিরে যেতে হয়। অনেকে রক্তদাতা জোগাড় করে রক্ত সংগ্রহ করেছেন। এক-দু’দিন নয়, দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থা চলছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়। অবস্থা সামাল দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার আর্জি জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে রক্তদান শিবিরের বার্ষিক ক্যালেণ্ডার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে রায়গঞ্জ মহকুমায় ১৫০টি রক্তদান শিবির হয়েছিল। তার মধ্যে ১১০টি শিবির আয়োজন করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রায় ৪৮০০ বোতল রক্ত জমা পড়ে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত মাত্র ২০টি রক্তদান শিবির হয়েছে। ভাটোলের বাসিন্দা লক্ষীরাম মূর্মূ বলেন, “আমার কাকার ডানপায়ে সংক্রমণ হয়েছে। দু’দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকায় তাঁকে রক্ত দেওয়া যাচ্ছে না।” হাসপাতালের সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি বলেন, “রক্তের অভাবে বহু অস্ত্রোপচার বাতিল হয়ে গিয়েছে। থ্যালাসেমিয়া, অ্যানিমিয়া রোগী-সহ প্রসূতিদের রক্ত দেওয়া যাচ্ছে না। রোগীদের পরিবার ব্লাড ব্যাঙ্কে ভিড় করছেন। তাঁদের রক্তদাতা নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছি।” সুপার বলেন, “তিনমাস ধরে হাসপাতালে রক্তের আকাল চলছে। ফলে রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। রক্তদান শিবিরও প্রায় বন্ধ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে রক্তদান শিবির করার আর্জি জানিয়ে বার্ষিক ক্যালেণ্ডার তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি।” |
জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার মুরগুমা জলাধারের কাছাকাছি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রবিবার অনুষ্ঠিত হল চিকিৎসা শিবির। শিবিরে মামুডি, লেওয়া, নওয়াগড়, গুড়রাবেড়া-সহ আশপাশের গ্রামগুলি থেকে আসা প্রায় ৪৫০ জন বাসিন্দা চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুনীলকুমার চৌধুরী, ডিএসপি (ডিএনটি) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। |
স্থায়ীকরণ সহ-বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে মাল্টিপারপাস হেল্থ ওয়ার্কার্স। এই দাবিতে শনিবার রাজগঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে। |