প্রকৃতির নিয়মের এক বিরল ব্যতিক্রমের সাক্ষী হয়ে থাকল রাজস্থানের রণথম্ভৌর ব্যাঘ্র প্রকল্প। মা হারা দু’টি বাঘের বাচ্চার দেখাশোনার ভার নিয়েছে একটি বাঘ। রণথম্ভৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। সাধারণত বাঘিনিই বাচ্চাদের লালন পালনের ভার নেয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রণথম্ভৌরে একটি বাঘিনী মারা যায়। কর্তৃপক্ষের ধারণা, ওই বাঘিনীই এই বাচ্চা দু’টির মা। “টি২৫” নামে চিহ্নিত যে বাঘটি ওই বাচ্চা দুটিকে দেখাশোনা করছে সেটিই তাদের বাবা বলেই মনে করছেন বনকর্মীরা। লুকনো ক্যামেরায় তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে বাচ্চা দুটির ঠিক পিছনে পিছনেই হেঁটে যাচ্ছে টি২৫। মা হারা বাচ্চা দুটির দিকে কড়া নজর রেখেছেন বনকর্মীরা। বাচ্চা দুটি এখনও শিকার ধরতে শেখেনি। তাই তাদের খাদ্য হিসেবে মাংস সরবরাহ করেন বনকর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, টি২৫ তার বাচ্চাদের ওই মাংস খেতে দিচ্ছে। নিজের ঘুরে বেড়ানোর পরিধিও কমিয়ে এনেছে বাঘটি। বনকর্মীদের ধারণা, বাচ্চারা যাতে ক্লান্ত না হয়ে পড়ে তাই এই “সিদ্ধান্ত” নিয়েছে সে। বাচ্চাদের হয়তো খুবই ভালবাসে টি২৫। |
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন পরিবর্তিত বীজ (জি এম সিড) গবেষণার কাজ আটকে দিল রাজ্যের পরিবেশ দফতর। রাজ্যের নতুন পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের কৃষি দফতরের নির্দেশ পেয়ে চুঁচুড়ার ধান গবেষণা কেন্দ্রে ওই গবেষণার কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক। গবেষণা আটকে দেওয়া হল কেন? সুদর্শনবাবু বলেন, “নিয়ম অনুসারে সাধারণ ধানখেত থেকে ২০০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ওই ধরনের গবেষণার ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই গবেষণার জন্য ধানখেত থেকে মাত্র ১০ মিটার ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।” বিষয়টি পুনরায় সামগ্রিক ভাবে খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছেন নতুন পরিবেশমন্ত্রী। |