|
|
|
|
সম্পাদকীয় সমীপেষু... |
|
‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ নামই সঙ্গত ছিল |
|
বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাদ্রাসা’ রুখতে পরীক্ষা বয়কট” শীর্ষক সংবাদ (৩১-৫), ক’দিন আগে ‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের স্থানে ‘আলিয়া মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়’ করার প্রস্তাব সংক্রান্ত সংবাদও আনন্দবাজারে পড়ার পর এ বিষয়ে আমার বক্তব্য জানাতে চাই। প্রকৃত পক্ষে ‘মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়’ কথাটি আরবি ভাষার আভিধানিক অর্থ এবং ব্যবহারিক অর্থের পরিপ্রেক্ষিতে ভুল। মুসলিম এবং আরবিভাষী দেশগুলিতে স্বীকৃত Dr. F. Steingass-এর Arabic English Dictionary (Gourab Pub. House, New Delhi, 1997)-তে সুস্পষ্ট ভাবে মাদরাসা (মাদ্রাসা লেখা ভুল) শব্দের উৎস দেখানো হয়েছে ৩৫৯ পৃষ্ঠায় দারস > দারাস্ শব্দ, যার অর্থ পাঠ করা, অধ্যয়ন (Read, Study)। দারাস্ শব্দের সঙ্গে ম ধ্বনি (আরবি মিম বর্ণ) উপসর্গ রূপে যুক্ত করলে (৯৭৬ পৃষ্ঠা) শব্দটি হবে মাদ্রাস্ (আরবি বর্ণ মিম, দাল্, রা, সিন্) > মাদ্রাসাত্ > মাদ্রাসা এবং এই শব্দের অর্থ উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাকাডেমি (Higher Educational Establishment, University, Academy)। এ সব হল মাদ্রাসা-র আভিধানিক অর্থ। এ দিক থেকে বিচার করলে ‘মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়’ বললে ‘বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়’ এই হাস্যকর অর্থ দাঁড়াবে। ‘আলিয়া’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘উচ্চ’। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নামের অর্থ তা হলে দাঁড়াবে ‘উচ্চ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়’!!
সব প্রধান ভাষার মতো আরবি ভাষার শব্দেরও স্বীকৃত এবং প্রযুক্ত ব্যবহারিক অর্থ বিদ্যমান। আরবি শিক্ষা পদ্ধতিরই অনুসরণে ইয়োরোপে মধ্যযুগে চতুর্থ স্তর শিক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছিল (দ্রষ্টব্য: ‘The Writings of Hangarian Islamologist Gyula Germanus, Ed. Gyula Wojtilla, Light and life Pub, New Delhi, 1981)। সেই স্তরগুলির আরবি নাম: মক্তব, মাদ্রাসা, আলিয়া, জামিয়া (Primary, High School, College, University)। মুসলিম বিশ্বের আরবি শিক্ষা পদ্ধতি এই চারটি আরবি term-এর অনুসরণ করেই প্রচলিত ছিল। তা ছাড়া প্রচলিত অর্থে বিদ্যালয় বোঝাতে ‘মাদ্রাসা’ শব্দ ব্যবহৃত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাই এটির নাম নির্ভুল আরবি কিংবা আরবি-বাংলা মিশ্র শব্দে এমনকী আরবি-ইংরাজি মিশ্র শব্দে গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। ‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ নামটি তো সঙ্গত এবং যুক্তিযুক্ত ছিল। কারণ, এই নাম থাকলে নিছক ধর্মশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসাবে এটিকে ভুল বোঝার সুযোগ ছিল না।
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ। কলকাতা-১৪
|
কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুল |
আনন্দবাজারে (৫-৬) উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ গ্রেড প্রাপকদের তালিকায় বহরমপুরের অভ্রনীল ঘোষের নাম দেখে গর্বিত হলাম। কিন্তু তার স্কুলের নাম লেখা হয়েছে, ‘কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুল’। এটি হবে ‘কৃষ্ণনাথ কলেজ স্কুল’। ১৮৫৩ সালের ১ নভেম্বর বহরমপুর কলেজের সঙ্গেই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সায়ন্তন মজুমদার। বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
|
নজরুলেরজীবন প্রসঙ্গের |
|
বিবাসরীয়তে রংগন চক্রবর্তীর ‘বিদ্রোহী’ (২৯-৫) প্রবন্ধে চুরুলিয়ার দুখুমিঞার কবিতা এবং জীবনের যে গল্প পড়েছেন, তাতে কিছু তথ্যের ভুল চোখে পড়েছে।
প্রথমত রংগন চক্রবর্তী এক জায়গায় নজরুলের স্ত্রী প্রমীলার (আশালতা সেনগুপ্ত) মাসিকে বিরজাসুন্দরী দেবী বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বিরজাসুন্দরী দেবী আশালতার কাকিমা ছিলেন, মাসি নন।
দ্বিতীয়ত, প্রবন্ধকার কবির তিন পুত্রের উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত, কবির চার পুত্রের নাম প্রথম কৃষ্ণ মহম্মদ বা আজাদ কামাল, দ্বিতীয় অরিন্দম খালেদ বা বুলবুল, তৃতীয় প্রখ্যাত বাচিকশিল্পী কাজী সব্যসাচী এবং সর্বকনিষ্ঠ পুত্র কিংবদন্তি গিটারবাদক কাজী অনিরুদ্ধ।
কবির বিয়ের বয়স নিয়েও লেখাটিতে অসঙ্গতি রয়েছে। কবির ঘনিষ্ঠ সহচর মুজফ্ফর আহমেদ জানিয়েছেন, নজরুল-আশালতার বিয়ের সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৩ বছর এবং আশালতার বয়স ছিল ১৪ বছর।
কল্যাণী কাজী (কবির কনিষ্ঠ পুত্রবধূ)। কলকাতা-৬
|
২ |
কাজী নজরুল ইসলামের মায়ের নাম ‘জাহেদা খাতুন’, ‘জাভেদা’ নয়। কাজী হুমায়ুন কবির। সিউড়ি, বীরভূম |
|
|
|
|
|