|
|
|
|
নতুন থানা গড়তে ফের পরিদর্শনে কমিশনার |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের শহর লাগোয়া ৯টি থানা ভেঙে ইতিমধ্যেই ১৬টি থানা এবং একাধিক ট্রাফিক গার্ড তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য রবিবার ফের ওই এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ পরিদর্শন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। গত ৫ জুন স্পেশাল কমিশনার শিবাজী ঘোষ, অতিরিক্ত কমিশনার (১) সুধীর মিশ্র এবং ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান রঞ্জিতবাবু। পরিদর্শকেরা দীর্ঘ সময় কাটান বেহালা ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে। পুরসভার ওই এলাকাগুলি কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে বেহালা এবং সংলগ্ন এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টির উপরে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। পর্ণশ্রী, বেহালা চৌরাস্তা, সরশুনা এবং সখেরবাজারে ট্রাফিক গার্ড নির্মাণ করার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পুর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কলকাতা পুলিশের। |
|
পরিদর্শনে বেরিয়ে বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলি তদন্ত কেন্দ্রের সামনে কলকাতার
পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র |
পুলিশ জানায়, রবিবার অবশ্য ৯টি (বেহালা, ঠাকুরপুকুর, নাদিয়াল, মেটিয়াবুরুজ, রিজেন্ট পার্ক, তিলজলা, কসবা, পূর্ব যাদবপুর, যাদবপুর) থানার মধ্যে ছ’টি ঘুরে দেখেন পুলিশের আধিকারিকেরা। ওই ছ’টি থানা হল: বেহালা, ঠাকুরপুকুর, পূর্ব যাদবপুর, কসবা, তিলজলা এবং মেটিয়াবুরুজ। গত ২৫ মে রাজ্য মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে শহর লাগোয়া কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ডগুলি কলকাতা পুলিশের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই এই কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। তা মাথায় রেখেই আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘সম্প্রসারিত’ এলাকা নিয়ে কাজ শুরুর চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ। মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকের পরের দিন, অর্থাৎ গত ২৬ মে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মহাকরণে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার-সহ উচ্চ আধিকারিকেরা। ২৭ মে লালবাজারে কয়েক জন আইপিএসের সঙ্গে দক্ষিণ শহরতলির ওই থানাগুলির অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়ে বৈঠক করেন পচনন্দা। সে দিন এবং পরের দিন ৯টি থানা পরিদর্শনেও যান পুলিশের
উচ্চ আধিকারিকেরা।
এ দিকে, ১০ তারিখ পুর-আধিকারিকদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বৈঠক হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ৯টি থানা এবং ট্রাফিক গার্ডগুলি কোথায় নির্মিত হবে, সে ব্যাপারে কলকাতা পুরসভাকে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। সেই সঙ্গে পুলিশ পুরসভার পরামর্শও চায়। পুলিশের প্রস্তাব মতো আপাতত পুর এলাকায় কয়েকটি বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। সে দিনের বৈঠকের পরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করার জন্য কলকাতা পুরসভা পুলিশকে পরিকাঠামোগত বিষয়ে সব রকম সাহায্য করবে। পুরসভার নিজস্ব জায়গা ছাড়া কয়েকটি বাড়ি কেএমডিএ এবং অন্য সরকারি দফতরের। এ ব্যাপারে আগামী দিনে পুর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশের আরও আলোচনা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কলকাতা পুলিশের এলাকায় অন্তর্ভুক্তির পরে ওই সব জায়গায় পুরসভা ‘গ্রিন পুলিশ’ মোতায়েন করার কথাও ভাবছে বলে জানা গিয়েছে লালবাজার সূত্রে। |
|
|
|
|
|