ওঁ হুম
‘ক্রিং ক্রিং’ ছট

খুড়োর কল
১৮৬১ সালের ফ্র্যাঙ্কফুর্ট শহর। যোহান ফিলিপ রাইস নামের এক স্কুল শিক্ষক বানিয়েছেন একটি খুড়োর কল। কয়েকটা বাক্স, নানা রকমের নল, মোটা তার দিয়ে জোড়া। কলের মধ্যে শব্দ বিদ্যুৎতরঙ্গে পরিণত হয়ে পৌঁছে যাবে ৩৪০ ফুট দূরে। এর আগে বেশ কিছু দিন ধরে এই তত্ত্ব শোনা যাচ্ছিল, দু’একটা যন্ত্রও বানিয়েছিলেন কয়েক জন। কিন্তু সেই প্রথম সাধারণ মানুষ নিজের চোখে দেখলেন দূরভাষ, কিংবা তার পূর্বপুরুষ।

ঘণ্টা দুই দেরি হলে?
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। টেলিফোনের জনক। কিন্তু এলিশা গ্রে’র নাম শুনেছ? হয়েছে কি, ১৮৭৫ সালের ২ জুন গ্রাহাম বেল তড়িৎচুম্বক মাধ্যমে শব্দকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠিয়েছেন। আর পরের বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি টেলিফোন-এ ব্যবহার করার লিক্যুইড ট্রান্সমিটার-এর তত্ত্বটা এলিশা গ্রে সৃষ্টি করে ফেলেছেন। তবে সেই যন্ত্রটা তিনি তখনও হাতে কলমে বানিয়ে উঠতে পারেননি।
১৪ ফেব্রুয়ারি এলিশা’র আইনজ্ঞ ওয়াশিংটনের পেটেন্ট অফিসে তাঁর উদ্ভাবনের সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে হাজির হলেন। আর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই অফিসে ঢুকলেন বেল-এর উকিল। এসেই তড়িঘড়ি বেল-এর দরখাস্তটি রেজিস্ট্রি করিয়ে ফেললেন। ও দিকে এলিশা’র গবেষণার কাগজ-পত্রের রেজিস্ট্রি হতে দুপুর দেড়টা বেজে গেল। পেটেন্ট অফিস বিচার করে দেখল, এলিশা’র মতোই গ্রাহাম বেল-এর টেলিফোনটিও এখনও পুরো তৈরি নয় বটে, কিন্তু কাগজ-পত্র বলছে দ্বিতীয় ব্যক্তির যন্ত্রটি তৈরি শুধুই সময়ের অপেক্ষা। টেলিফোন উদ্ভাবনের স্বত্ব গেল গ্রাহাম বেল-এর পক্ষে। আর এলিশা’র নাম মিলিয়ে গেল অন্ধকারে। ১০ মার্চ, ১৭৭৬। অফিসে কাজ করছিলেন বেল-এর সহকারী। সামনে রাখা যন্ত্রটি বেজে উঠল। রিসিভার তুলে শুনতে পেলেন বেল-এর গলা। ‘ওয়াটসন মহাশয়, আপনাকে প্রয়োজন। এ ঘরে আসুন।’ টেলিফোন-এ বলা মানুষের প্রথম কথা। বেল-এর যন্ত্রের লিক্যুইড ট্রান্সমিটার-এর নকশাটা কিন্তু এলিশা’রই। (ছবিতে বাঁ দিকে এলিশা গ্রে ও ডান দিকে গ্রাহাম বেল)
 
কথা + পড়া, বিনোদন এবং
২০১১-র ফোন বেজায় স্মার্ট। রেডিয়ো, মিডিয়া প্লেয়ার-এ গান হাই ডেফিনিশন সিনেমা, ক্যামেরা, ভিডিয়ো, থার্ড জেনারেশন-এর দৌলতে ইন্টারনেট সব সম্ভব। ২০০৮-এ এসেছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। অ্যাপ্লিকেশন সংখ্যাই প্রায় কুড়ি হাজার। সাম্প্রতিকতম হল অ্যাপ্ল আই ফোন ফোর। মাল্টিটাচ স্ক্রিন, ভিডিয়ো কল, দ্রুত ইন্টারনেট, বই-সিনেমা-গান-এর গোটা লাইব্রেরি ঠাসা তার মধ্যে।
 
এ বার তবে মুঠোয়
৩ এপ্রিল ১৯৭৩। ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার মোটোরোলা ডাইনাট্যাক প্রোটোটাইপ মডেল-এর মোবাইল ফোন-এ কথা বললেন জোয়েল এঙ্গেল-এর সঙ্গে। ১৯৯৩ সাল থেকে পাঠানো হতে লাগল খুদে বার্তা এসএমএস।
 
হ্যালো নিনজা অ্যাসাসিন হ্যালো, চেকিং কোড...
১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮০। গ্রাহাম বেল ও চার্লস সাম্নার টেন্টার মিলে তৈরি করলেন রেডিয়োফোন। শব্দ যাবে আলোকরশ্মির মাধ্যমে। জনপ্রিয়তা চরমে পৌঁছল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মানিতে। ওয়াকিটকি’র মাধ্যমে সৈনিকরা সঙ্কেত বার্তার আদান প্রদান করত।
 
ঘটাং ঘটাং ক্রিং ক্রিং
১৯০৪ সালে তৈরি হয়েছিল রোটারি ডায়াল ফোন। ১৯৩৫ সালের মধ্যেই ইউরোপ-এর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গেল আঙুল গর্তে ঢুকিয়ে ডায়াল ঘোরানো এই যন্ত্র। ১৯৪৬ সালে ন্যাশনাল নাম্বারিং কোড তৈরি হল। দেশ ও প্রদেশের নম্বরের আগে বসল দুই বা তিন নম্বরের এসটিডি ও আইএসডি কোড।
 
২৩ অগস্ট ১৯৯৫। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সুখ রাম-এর সঙ্গে মোবাইলে কথা বললেন। ভারতে প্রথম বার।
Magazine Rabibasariyo Anandamela



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.