|
|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
বিড়ালবাবাজির বালিশ |
আমাদের পাড়ায় একটা মেনি বিড়াল আছে। সারা দিন এ-বাড়ি ও-বাড়ি ঘুরে মাছের কাঁটা খায়, আর রাতে ও কারও বাড়ির ছাদে, কারও বাড়ির কার্নিশে বা পাঁচিলে শুয়ে থাকে। এক দিন সকালে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আমি দেখলাম, ও আমাদের গ্যারেজের ছাদের অ্যাসবেসটসের উপর শুয়ে আছে। তার পর থেকে প্রতি রাতেই ও ওখানে শোয়। আরও লক্ষ করলাম, সব সময়ই ও অ্যাসবেসটসের উঁচু অংশে মাথাটাকে রেখে নিচু অংশে শরীরটাকে এলিয়ে দেয়। বুঝলাম, ও ওই উঁচু অংশটাকে বালিশ বানিয়েছে। তবে বালিশটা বড়ই শক্ত!
সৌহার্দ্য সাহা। চতুর্থ শ্রেণি, হরপ্রসাদ প্রাইমারি ইন্সটিটিউশন |
|
|
মাছের খিদে |
বাড়ির পাশে একটি বড় পুকুর আছে। সকালে বাড়ির কাজের মাসির কলতলায় বাসন ধোয়ার সময় বাসন ধোয়া জল পুকুরে গিয়ে পড়ে। তখন অনেক ছোট বড় মাছ নালা ও পুকুরের সংযোগ মুখে এসে জড়ো হয় এবং নালার জলে থাকা খাবারের টুকরো খায়। নালা দিয়ে জল পুকুরে পড়লে তবেই মাছের ঝাঁক ছুটে আসে, আমি দোতলার বারান্দা থেকে মাঝে মাঝে মুড়ি, বিস্কুট, পাঁউরুটি পুকুরের জলে ফেলি। মাছেরা কাড়াকাড়ি করে খায়। দেখতে খুব ভাল লাগে।
রাজন্যা ঘোষ। তৃতীয় শ্রেণি, সেন্ট অ্যান্টনি স্কুল, চন্দননগরা |
|
|
মা ও তার ছানারা |
একটা গাছের নীচে ৩-৪টি বাচ্চা নিয়ে মা-কুকুরের সংসার। বাবার সঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দেখলাম, মা-কুকুরটা পেট চেপে চেপে আওয়াজ করে ওদের সামনে মুখ দিয়ে খাবার উগরে দিচ্ছে। সেই খাবার বাচ্চাগুলো আনন্দ করে খাচ্ছে আর মাকে আদর করছে। মা-ও চরম তৃপ্তির সঙ্গে বাচ্চাদের সঙ্গ দিচ্ছে।
সায়নাভ রায়। ষষ্ঠ শ্রেণি, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, ব্যারাকপুর |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|