|
|
|
|
অনিয়ম চাল বণ্টনে, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
খরাপ্রবণ এলাকায় দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারে চাল বিলি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মালদহের জেলাশাসক জেলার প্রতিটি ব্লকে বিপিএলভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে ১৮ কেজি চাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বছর খানেক আগে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেও কোনও ব্লকে ১২ কেজি, কোনও ব্লকে ১৫ কেজি আবার কোথাও ১৭ কেজি চাল বিলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার চাঁচল-২ নম্বর ব্লকে এই ব্যাপারে বিক্ষোভ দেখান রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। বিক্ষোভের সময় বিডিওকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।য জেলাশাসক রাজেশ সিংহ বলেন, “চাল যেভাবে পাওয়া গিয়েছে, সেই ভাবে বিলি করা হচ্ছে। কম চাল থাকার জন্য চাঁচল-২, কালিয়াচক-৩ ব্লকে ১৫ কেজি ও ১৭ কেজি চাল বিলি করতে বলা হয়েছিল। যাঁদের কম চাল দেওয়া হচ্ছে, পরে তাঁদের ফের বকেয়া চাল দেওয়া হবে।” ২০১০ সালে মালদহের ৭টি ব্লক খরা কবলিত হয়ে পড়ে। এর পরে খরা কবলিত দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষদের বিনে পয়সায় এককালীন চাল দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। প্রতিটি পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্কদের ১২ কেজি এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার চালও বরাদ্দ করে। জেলা প্রশাসন সেই চাল পাওয়ার পরেই বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যায়। বিধিভঙ্গের বিষয় থাকায় সেই সময় চাল বিলি করা হয়নি। ভোটপর্ব শেষ হতেই চাল বিলি শুরু হয়। জেলায় যে চাল এসেছে তা দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ২১,৭৬,৩৭৬ জনকে বিলি করতে গেলে পরিবার পিছু ৬ কেজি ৫৫৬ গ্রাম চাল পাওয়ার কথা। এই নিয়েই মূলত সমস্যা দেখা দেয়। এর পরে জেলা প্রশাসন বিপিএল পরিবার পিছু ১৮ কেজি বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেবলমাত্র বাদ রাখা হয় চাঁচল-২ এবং কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লককে। অভিযোগ, এর পরেও ইংরেজবাজার-সহ বিভিন্ন ব্লকে পরিবার পিছু ১৮ কেজি চাল পাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিমাণে চাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত জেলাশাসক তরুণ সিংহরায় বলেন, “১৮ কেজির নিচে যে সমস্ত পরিবার চাল পেয়েছে, তাঁদের পরবর্তীতে বকেয়া চাল দেওয়া হবে। এই নিয়ে অসন্তোষের কোনও কারণ নেই” |
|
|
|
|
|