|
|
|
|
‘গেটওয়ে অফ ডুয়ার্স’ হেরিটেজ জোন হচ্ছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
অবশেষে ‘গেটওয়ে অব ডুয়ার্স’ ময়নাগুড়িকে ‘হেরিটেজ জোন’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিল ‘ওয়েষ্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন’। আগামী ১৬ জুন জল্পেশ মন্দির চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদার ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে এদিন কমিশনের কর্তারা ময়নাগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা নবম থেকে দশম শতাব্দীর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি ঘুরে দেখবেন। কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর আনন্দগোপাল ঘোষ বলেন, “উত্তরবঙ্গের কোনও এলাকা এই প্রথম হেরিটেজ জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ১৬ জুন ওই ঘোষণা করবেন।” কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়িকে হেরিটেজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি কোচবিহারের মহারাজা প্রাণনারায়ণ এবং মোদনারায়ণের তৈরি জল্পেশ মন্দিরকে পৃথকভাবে হেরিটেজ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে হেরিটেজ জোন ঘোষণার ফলে এলাকার সমস্ত প্রাচীন অট্টালিকা, মন্দির, সেতু বা জলাশয় সংরক্ষণের আওতায় চলে আসবে। সেগুলিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি সংরক্ষণের জন্য অর্থ সাহায্য মিলবে। |
|
গত ডিসেম্বর মাস থেকে কমিশনের কর্মীরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান ও প্রাচীন সম্পদের সমীক্ষা শুরু করেন। ময়নাগুড়িতেও সমীক্ষার কাজ হয়। ওই সময় সমীক্ষকরা জল্পেশ, জটিলেশ্বর মন্দির, বাকালির বড় বাড়ি মসজিদ, ভদ্রেশ্বর, সদরখই, বটেশ্বর এলাকায় ছড়িয়ে থাকা নবম থেকে দশম শতাব্দীর ধ্বংসাবশেষ, পেটকাটি ও জল্পেশ এলাকায় প্রাপ্ত ওই সময়কালের কষ্টিপাথরের প্রাচীন মূর্তি, বৃটিশ আমলে দোমহনিতে গড়ে ওঠা ‘বেঙ্গল ডুয়ার্স রেল জংশনের’ সদর দফতর, রাধিকা লাইব্রেরি এবং জরদা সেতু ঘুরে দেখেন। পরে রিপোর্ট তৈরি করে কমিশনে জমা দেন। ওই রিপোর্ট দেখে অবাক কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর আনন্দগোপালবাবু বলেন, “ময়নাগুড়ির মতো প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানে সমৃদ্ধ এলাকা উত্তরবঙ্গের অন্য কোথাও নেই। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পরে ওই জনপদটিকে হেরিটেজ জোন ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” |
|
|
|
|
|