|
|
|
|
ফলন বাড়াতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দক্ষিণ দিনাজপুরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ শুরু করল জেলা কৃষি দফতর। চালের উৎপাদন বাড়াতে তিনটি প্রদর্শনী ক্ষেত্র তৈরি করে ওই প্রকল্প রূপায়ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করেছে ৩ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদর্শনী কেন্দ্রের জন্য জেলার বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং কুশমন্ডি ব্লককে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের জন্য ব্লক নির্বাচন নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভায় প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনায় বিরোধী তৃণমূল সদস্য অখিল বর্মল আপত্তি তোলেন। তাঁর অভিযোগ, প্রকল্পটির বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। একতরফা ভাবে ব্লক নির্বাচন করে বংশীহারি ও হরিরামপুর ব্লককে প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি। অখিলবাবু এ দিন বলেন, “বংশীহারি, হরিরামপুর ও তপনের মতো পিছিয়ে পড়া ব্লকের একটিকেও প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এটা করা হলে চাষিরা উপকৃত হতেন।” জেলা কৃষি দফতরের উপ অধিকর্তা লক্ষ্মীকান্ত মান্ডি বলেন, “বিধানসভা ভোটের সময় প্রকল্পটির অনুমোদন মেলে। চলতি আর্থিক বছরে আমন ধান চাষের মরসুমে প্রকল্প রূপায়ণের নির্দেশ আসে। তাই কৃষি দফতরের ফিল্ড কর্মীর সংখ্যা ও পরিকাঠামোগত সুবিধা দেখে তিনটি ব্লককে বেছে নেওয়া হয়। এখানে পক্ষপাতিত্বের কিছু নেই।”
রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অধীন প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলাশাসক ও জেলা কৃষি আধিকারিকদের। জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে উপ কৃষি অধিকর্তা ও মুখ্য কৃষি আধিকারিককে নিয়ে জেলা স্তরে এবং বিডিও, ব্লক কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকদের নিয়ে ব্লক স্তরে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ৭টি রাজ্যকে ২০১০-২০১১ আর্থিক বছরে ওই প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। আমন চাষের মরসুমে এ বছর প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও শিলিগুড়ি মহকুমায়। ধান চাষের প্রদর্শনী ক্ষেত্রগুলি ১ হাজার হেক্টর জমিতে গড়ে তোলা হবে। তিনটি প্রদর্শনী ক্ষেত্রের জন্য দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া অঞ্চল, গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় অঞ্চল এবং কুশমন্ডির মালিগাঁও অঞ্চলে ৩ হাজার হেক্টর জমি চিহ্নিত হয়েছে। একটি প্রদর্শনী ক্ষেত্রের খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। সেখানে অন্তত ৫ হাজার চাষি যুক্ত হবেন। তাঁদের উপরে থাকবেন ১০ জন অভিজ্ঞ চাষি। চাষের জন্য নিখরচায় বীজ ও সেচের ব্যবস্থা করা হবে। থাকবে সার সরবহার এবং রোগ দমনের ব্যবস্থাও। উপকৃষি অধিকর্তা বলেন, “ধানের বীজতলা তৈরি না করে সরাসরি ‘ড্রাম সিড’ ব্যবহার ধান বীজ বোনা হবে। হেক্টর পিছু উৎপাদন বেড়ে ৫ টনেরও বেশি হবে।” |
|
|
|
|
|