|
|
|
|
গাফিলতি, অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অপারেশনের আগে অজ্ঞান করার সময়ে গাফিলতিতে এক রোগিণীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার শিলিগুড়ি থানায় ২ চিকিৎসকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগিনীর স্বামী দুলালমোহন দাস। বৃহস্পতিবার মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ওই রোগিণীর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম রজকিনী দাস (২৬)। তাঁর বাড়ি রাজগঞ্জের পানিকৌড়িতে। ছয় মাস ধরে মাটিগাড়ার ওই নার্সিংহোমে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ওই ঘটনায় অ্যানাসথেসিস্ট চন্দনা মণ্ডল ও শল্য চিকিৎসক পুলক সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। দুই চিকিৎসকই অবশ্য গাফিলতির কথা মানতে চাননি। শিলিগুড়ির এক পুলিশ কর্তা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের হাতে রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।” মৃতার স্বামী দুলালমোহন দাস অভিযোগ করে জানান, ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর জরায়ুর টিউমারের অপারেশনের জন্য চিকিৎসকের অধীনে হাকিমপাড়ার একটি নার্সিংহোমে তিনি রজকিনী দেবীকে ভর্তি করান। ওই দিন দুপুরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অ্যানাসথেসিস্ট হিসেবে ছিলেন চন্দনা দেবী। রজকিনী দেবীকে অজ্ঞান করার পর তিনি কোমায় চলে যান। দুলালবাবু বলেন, “ছয় মাস ধরে স্ত্রী কোমায় ছিলেন। চিকিৎসকরা আমাকে বার বার আশ্বাস দিয়েছেন স্ত্রীকে ভাল করে দেবেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো গেল না। চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই এটা হয়েছে।” চিকিৎসক পুলক সাহা জানান, অপারেশনের আগে তাঁকে অজ্ঞান করেন অ্যানাসথেসিস্ট। সে সময়ই তিনি আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, “অ্যানাসথেসিস্ট অজ্ঞান করার পরে আমি গিয়ে দেখি রোগিণীর হাত-পা নীল হয়ে গিয়েছে। তখন অপারেশন না করে তাঁকে অন্য নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তার পরেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।” অ্যানাসথেসিস্ট চন্দনা দেবী বলেন, “চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি ছিল না। যে কোনও অপারেশনের সময় ঝুঁকি থেকে যায়। ঠিকমতোই তাঁকে অজ্ঞান করার কাজ করেছি। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর কীভাবে ভাল চিকিৎসা করা যায় সে ব্যবস্থা করেছি। সে সময় কোনও অভিযোগ তোলা হয়নি।” চন্দনা দেবীর অভিযোগ, “আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। অস্বীকার করাতেই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” দুলালবাবু বলেন, “ওই চিকিৎসক টাকা দিতে চেয়েছিলেন। নিইনি। সে জন্য উপযুক্ত শাস্তি চাই।” |
|
|
|
|
|