কলকাতা ও আশপাশের মোট ৫টি সরকারি হাসপাতালের স্টেটাস রিপোর্ট জমা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ ছিলই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যকর্তাদের নির্দেশ পাঠান, বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। হাসপাতালগুলি হল বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বারাসত জেলা হাসপাতাল, বিদ্যাসাগর হাসপাতাল, গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও হাওড়া জেলা হাসপাতাল। এর পরেই জরুরি বৈঠক ডাকেন স্বাস্থ্যসচিব মানবেন্দ্রনাথ রায়। পরিকাঠামোয় কোথায় গলদ, পরিষেবার উন্নয়নে কী কী দরকার ইত্যাদির তালিকা তৈরি করতে বলা হয় সুপারদের। পাঁচটার মধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়ে। ১৩ জুন স্বাস্থ্যভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্তাদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। শুক্রবার বাঘা যতীন হাসপাতালে আচমকা যান পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক মণীশ গুপ্ত এবং স্বাস্থ্য সচিব মানবেন্দ্রনাথ রায়। খবর নেন, হাসপাতাল কেমন চলছে। সপ্তাহখানেক আগে এখানেই পরিদর্শনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর বারোটাতেও আউটডোর চালু হয়নি দেখে কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেন। এর পরে রাতারাতি হাসপাতালের ভোল বদলায়। ১৫ দিনের জন্য এক অফিসারকে রেখে দু’বেলা রিপোর্ট নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। |
অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকদের মতো সমহারে বেতন প্রদানের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন হোমিও চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩৫ বছরের বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার তাঁরা। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। অথচ আজও তাঁরা ন্যূনতম প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ হোমিওপ্যাথিক এন্ড আয়ুর্বেদিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রাজগঞ্জ ব্লক কমিটির পক্ষে শুভদ্বীপ দাস, শুভজিত দাস, নফিরুল ইসলামরা বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা অনেক কম মাইনে পান। এই বৈষম্য দূর হওয়া দরকার।” তাঁদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ আছে সবাই সমহারে বেতন পাবে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না অভিযোগ তাঁদের। এ ছাড়া তাঁদের অভিযোগ, ৩৫ বছরেও গ্রাম পঞ্চায়েতের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সার্ভিস রুল তৈরি হয়নি। হয়নি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থাও। এই সব অভিযোগ নিয়ে তাঁরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিধায়ক ও মন্ত্রীদের স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ও রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের হাতে স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছেন। এই নিয়ে আগামী ৩০ জুন কলকাতায় সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজনও করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। |
ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার শিশু এইচআইভি-তে আক্রান্ত হচ্ছে এবং তাদের অধিকাংশের দেহেই ভাইরাস আসছে অভিভাবকের কাছ থেকে। শুক্রবার ইউনিসেফ এবং রাজ্য এড্স নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা আয়োজিত এইচআইভি সংক্রান্ত আলোচনাসভায় চিকিৎসা-বিশেষজ্ঞেরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এইচআইভি-আক্রান্ত মায়ের থেকে গর্ভস্থ সন্তানের যাতে রোগ না-হয়, সে জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করে ইউনিসেফ। তার পরেও বছরে প্রায় ২১ হাজার শিশু মায়ের থেকে ওই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ মায়ের কাছ থেকে শিশুর দেহে সংক্রমণ আটকানোর প্রক্রিয়ায় কোথাও যে ফাঁক থেকে যাচ্ছে, সেটা স্পষ্ট। ভারতে ইউনিসেফের এইচআইভি, এড্স সংক্রান্ত কাজের প্রধান ইভোনে ক্যামারোনির কথায়, “আরও দ্রুত ওষুধের সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা মায়ের কাছ থেকে শিশুর দেহে সংক্রমণ আটকানোর বিষয়টি দেখভাল করেন, সেই কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।” |
বৃহস্পতিবার বেলাকোবা বিবেকানন্দ ইউনিটি সেন্টারের উদ্যোগে রাজগঞ্জের মাঝিয়ালিতে বিনামূল্য একটি চোখ পরীক্ষা শিবির হল। বাদলাগছ স্কুল মাঠে শিবিরের উদ্বোধন করেন শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক। |