|
|
|
|
দক্ষিণ তিমিরেই |
বর্ষা আজ ঢুকতে পারে উত্তরবঙ্গে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে আজ, শনিবারেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়বে বলে আশা করছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা বলছেন, এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ সক্রিয়। তাই উত্তরবঙ্গের দুই জেলা কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এবং সন্নিহিত সিকিমে শনিবারেই তার ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তবে কোচবিহার থেকে মৌসুমি বায়ু কবে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে, আবহবিদেরা সেই ব্যাপারে এখনই সুনির্দিষ্ট কোনও পূর্বাভাস দিতে পারছেন না। তাই দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গিয়েছে তাঁদের। স্বাভাবিক নিয়মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকে ৩ থেকে ৪ জুনের মধ্যে। আর ৯ থেকে ১০ জুনের মধ্যে সে চলে আসে দক্ষিণবঙ্গে। এ বার উত্তরবঙ্গে আসার পথেই বর্ষা দিন সাতেক দেরি করে ফেলেছে। তাই আগামী সপ্তাহের আগে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। |
|
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার পৌঁছতে সময় লাগে পাঁচ থেকে ছ’দিন। কিন্তু সেটা যাত্রাপথের পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে তবেই। কোনও কোনও সময়ে কোচবিহার থেকে মালদহ আসতেই মৌসুমি বায়ু ১০ দিন লাগিয়ে দেয়। তবে বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে কিংবা দক্ষিণবঙ্গের উপরে কোনও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হলে সেই পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গ থেকে বর্ষাকে তাড়াতাড়ি দক্ষিণবঙ্গের দিকে টেনে নিয়ে আসে। এ বার তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, তার জন্য অপেক্ষা করছেন আবহবিদেরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই মুহূর্তে বর্ষা খুবই সক্রিয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্যেই বর্ষা ছড়িয়ে পড়েছে। এবং সে চলে এসেছে উত্তরবঙ্গের দরজায়। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকাটা তাই এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।” কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে? গোকুলবাবু বলেন, “আগামী দু’তিন দিনে পরিস্থিতির বদল হতে পারে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তেমন হলে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়তে পারে।”
মৌসুমি বায়ুর আন্দামান-পথটি কতটা সক্রিয়, তার উপরে এ রাজ্যে বর্ষার আগমনের বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করে। এ বার আন্দামানে বর্ষা ঢুকেছে নির্দিষ্ট সময়ের ১০ দিন পরে। তাই প্রথমেই পিছিয়ে পড়েছে বর্ষার আন্দামান-পথ। তবে পরবর্তী সময়ে তা কিছুটা সক্রিয় হওয়ায় সেই দেরি অনেকটাই পুষিয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। সেটা যদি না-হত, তা হলে উত্তরবঙ্গে বর্ষার পৌঁছতে আরও দেরি হত। |
|
|
|
|
|