|
|
|
|
মমতার দ্বারস্থ পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
একে তো কর্মীর সংখ্যা কম, তার উপর মিলছে না সুযোগ-সুবিধেও। আগের বাম সরকারের আমলে বহুবার দাবি দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি। এবার অনেক প্রত্যাশা নিয়ে নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রামে সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি সুশান্ত কবিরাজ। ইতিমধ্যে ওই সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদনও করেছেন তারা। সুশান্তবাবু বলেন, “নতুন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের সমস্যা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। তিনি যে ভাবে কাজ শুরু করেছেন তাতে আমরা আশাবাদী। আমরা আমাদের সমস্ত সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। চলতি মাসেই তিনি আমাদের সাক্ষাতের সময় দেবেন বলে আশা করছি।” মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ-প্রশাসনকে রাজনীতির বাইরে রাখার আবেদনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশকে আরও মানবিক এবং নিরপেক্ষ হতে হবে। আমাদের সংগঠনের সমস্ত সদস্যকে তা জানিয়ে দিয়েছি।” সংগঠনের তরফে অভিযোগ করা হয়, বর্তমানে রাজ্যের পুলিশ কর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। প্রতি লক্ষ্যে ৮৭ জন পুলিশ কর্মীর থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৬৫ জন। ১৪ হাজার পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে আরও ১ লক্ষ পুলিশ কর্মীর প্রয়েোজন রয়েছে বলে সুশান্তবাবু দাবি করেন। পুলিশ কর্মী কম থাকার কারণে একজন কর্মীকে দিনে ১৬ ঘন্টার উপরে ডিউটি করতে হচ্ছে। ফলে অসুস্থ হয়ে প্রতি মাসে ২০-২৫ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে বলে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়। পুলিশের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হাসপাতালগুলি বেহাল হয়ে পড়লেও কোনওরকম দেখভাল করা হয়নি বলে অভিযোগ। হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক থেকে আধুনিকমানের চিকিৎসা যন্ত্র কিছুই নেই। ফলে সেখানে চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগও পান না পুলিশ কর্মীরা। সুশান্তবাবু বলেন, “দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পরিকাঠামোগত দিক থেকে পিছিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এবারে তার হাল ফিরবে বলে মনে হচ্ছে।” তিনি দাবি করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে ১৬০০ থানা রয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে থানার সংখ্যা মাত্র ৪৪০টি। জঙ্গি বা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে অত্যাধুনাকি মানের অস্ত্র নেই। ফলে পুলিশকে নানা সময় সমস্যায় পড়তে হয়। পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের সুযোগ-সুবিধে নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সংগঠনের তরফে। পুলিশরে রেশন ব্যবস্থা ফের চালুর দাবির পাশাপাশি কর্মীদের আবাসনগুলিরও বেহাল দশা ঘোচানোর দাবি তারা নতুন সরকারের কাছে জানাবেন। এদিনের রক্তদান শিবিরে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার এবং শিলিগুড়ির পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|