টানাটানির কারণে অর্থসাহায্য দেওয়া যাবে না। তবে অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলিকে স্বীকৃতি দেবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর্থিক সহায়তা কেন দেওয়া যাচ্ছে না, তা-ও ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্যের তহবিলের অবস্থা খুব খারাপ। সকলকে বার্ধক্য ভাতা বা বিধবা ভাতাও দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সব মাদ্রাসাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া যাবে না। তবে মাদ্রাসাগুলির অর্থ সংস্থানের সম্ভাব্য উপায়ের কথাও বলেছেন মমতা। তিনি বলেন, “অনুমোদন দেওয়া হলে ওই মাদ্রাসাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে সাহায্য পেতে পারে।” সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিত ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে অনেক কিছু ভাবতে হয়। রাজ্যের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। তাই এই বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।” |
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনুমোদন ছাড়াই মাদ্রাসা চালায় বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা অন্য মাদ্রাসা থেকে পর্ষদের পরীক্ষায় বসেন। এই ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা ঠিক কত, তা জানাতে পারেননি মমতা। তিনি বলেন, “সংখ্যাটা ঠিক কত, সেটা দেখে বলতে হবে। তবে এই ধরনের হাজার দশেক মাদ্রাসা তো আছেই।”
অনুমোদনহীন ১০ হাজার মাদ্রাসা রাজ্যে আদৌ আছে কি না, মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অনেকেরই তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাঁদের মতে, যেগুলিকে খারিজি মাদ্রাসা বলে অর্থাৎ যেখানে শুধু ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়, তাদের ধরলেও সংখ্যাটা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত সংখ্যার কাছাকাছি আসার কথা নয়। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন এক কর্তা জানান, অনুমোদনহীন মাদ্রাসার সংখ্যা বড়জোর ১,৫০০ হবে। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের মতে, মাদ্রাসাগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার মধ্যে নতুনত্ব নেই। বিগত বামফ্রন্ট সরকার ২০১০ সালেই সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদনপত্র চেয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া মেলেনি। তবে অনুমোদনহীন ৪৯৫টি মাদ্রাসাকে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র বা মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আরও ৪০৫টি মাদ্রাসাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল। |