|
|
|
|
যোজনা বরাদ্দ নিয়ে প্রণবের দ্বারস্থ অমিত |
নিজস্ব সংবাদদাতা• নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের যোজনা বরাদ্দ নিয়ে এ বারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সোমবার বিকাল পৌনে পাঁচটায় নর্থ ব্লকে এই বৈঠক হবে। তার আগে রাজ্যের অর্থসচিব চন্দ্রমোহন বাচওয়াত আজই বৈঠক করে গেলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের সচিব সুমিত বসুর সঙ্গে।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের মতে, আজ তিনটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, ‘ফিসক্যাল রেসপন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট’ আইন একেবারে শেষ বেলায় কার্যকর করেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন বাম সরকার। সে কারণে অর্থ কমিশনের থেকে যে আর্থিক সাহায্য রাজ্য পেতে পারত, তা হাতছাড়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের মতে, অর্থ কমিশন থেকে পশ্চিমবঙ্গ ৩,১৫৩ কোটি টাকা পেতে পারে। দুই, কয়লার সেস আদায়ের থেকে রয়্যালটি আদায়ের দিকে যেতে চাইছে রাজ্য সরকার। সে ক্ষেত্রে ৫০০০ কোটি টাকা প্রাপ্য রাজ্যর। তিন, শতকরা একশো ভাগ কেন্দ্রীয় সাহায্য দেওয়া হয়, এমন বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্য বরাদ্দ আরও বাড়াতে চাইছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের (এডিবি) ঋণের পরিমাণটিও তারা বাড়িয়ে ১০০০ কোটি টাকা করতে চায়। সোমবার অমিত মিত্রের সঙ্গে ফের দিল্লি আসছেন রাজ্যের অর্থসচিব। এডিবি-র প্রধানের সঙ্গেও সে দিন সকালে তাঁর বৈঠক হতে পারে। |
|
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এত দিন পুরোপুরি অসত্য হিসেবের ভিত্তিতে রাজ্যের যোজনা বরাদ্দ স্থির হয়ে এসেছে। যার ফলে এখন যোজনার পরিমাণ ঠিক করতে হিমসিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। এই জন্যই আগামী ১৩ জুন মমতার সঙ্গে যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুয়ালিয়ার বৈঠকও স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু অমিত মিত্র বৈঠকে বসতে পারেন মন্টেকের সঙ্গে। উন্নয়ন পরিকল্পনা মন্ত্রী মণীশ গুপ্তও থাকতে পারেন সেই বৈঠকে। পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক সঙ্কট কাটাতে রাজ্য সরকারের এখন লক্ষ্য বাজার থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়ানো, আর্থিক ঘাটতি কমানো ও সম্পদের সঠিক পরিচালন করা। কিন্তু রাজ্যের যে আর্থিক হাল, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে যোজনা বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এর একটি সহজ পথ হল, পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া। কিন্তু কোনও রাজ্য সরকারই তা চাইবে না। এই সঙ্কট কাটাতেই কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেতে চাইছে রাজ্য। এটি যদি প্যাকেজের আকারে না হয়ে ঘুরপথে আসে, তাতেও আপত্তি নেই রাজ্যের। এমনকী পরিকল্পনা খাতের মাধ্যমে সাহায্য এলেও সমস্যা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আজ কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক সঙ্কট মেটানোর জন্য কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।” দিল্লি ছাড়ার আগে সুমিত বসুর সঙ্গেও আজকের আলোচনার বিবরণও জেনে নেন প্রণববাবু। সুমিত বসুর মতে, “প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে রাজ্যের থেকে আরও তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলি নিয়ে ফের আলোচনা হবে।” |
|
|
|
|
|