|
|
|
|
চোর সন্দেহে গণপ্রহারে মৃত্যু দেগঙ্গায়, ধৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
চোর সন্দেহে জনতার হাতে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার দেভোগ গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম হাবিবুর রহমান মোল্লা (৩৭)। তাঁর বাড়ি দেগঙ্গা থানারই থানার ভাসিলা গ্রামে। পেশায় তিনি ছিলেন বিমা কোম্পানির এজেন্ট। ভাসিলা প্ল্যাটফর্মে তাঁর একটি মণিহারি দোকানও রয়েছে। বসিরহাট থানার আই সি হাবিবুর রহমান বলেন, “গণধোলাইয়ে মদত দেওয়ার অভিযোগে আনোয়ারা বিবি নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর স্বামী-সহ আরও তিনজনকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার থানার দেভোগ গ্রামের বাগানআটি পাড়ায় বাড়ি আজিজ মোল্লার। তদাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বিবি একটি বেসরকারি বিমা সংস্তার কর্মী। একই সংস্থায় কাজ করার সুবাদে হাবিবুরের সঙ্গে আনোয়ারার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরস্পরের বাড়িতে আসা-যাওয়াও শুরু হয়। দু’জনের এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে আপত্তি জানান আনোয়ারার স্বামী আজিজ। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে বিবাদ বাধলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। প্রতিবেশীরাও বিষয়টি ভাল চোখে দেখেনি। বৃহস্পতিবার রাতে হাবিবুর আনোয়ারার বাড়িতে যান।
এদিকে সম্প্রতি ওই এলাকায় পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তার জেরে বাসিন্দারা সজাগ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে হাবিবুরকে বাড়িতে দেখে আনোরার ছেলে মাকে বলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে। এই নিয়ে বচসা বেধে যায়। সেই সময় আনোয়ারার বাড়ির লোকজন চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক বুঝে আনোয়ারাও হাবিবুরকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তাঁদের সঙ্গে চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। শুরু হয় গণধোলাই। হাবিবুরের স্ত্রী নুরবানু বিবি বলেন, “কোম্পানিতে আনোয়ারা সিনিয়ার হওয়ায় আমার স্বামী ওদের বাড়ি গিয়ে বিমার টাকা দিয়ে আসতেন। এ দিনও ১০ হাজার টাকা দিতে গিয়েছিলেন। গভীর রাতে আমাকে বলা হয় আমার স্বামী দেভোগ গ্রামে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভোরবেলা গিয়ে দেখি মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।” তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ নির্দোষ তাঁর স্বামীকে আনোয়ারার প্ররোচনায় গ্রামবাসীরা ভুল বুঝে পিটিয়ে মারল।
|
|
|
|
|
|