সম্প্রতি শিশির মঞ্চে ‘ঝোড়ো হাওয়া’র নিবেদন ছিল ‘হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ’। প্রথম পর্বে এলেন গানে বাসবী বাগচী ও কবিতাপাঠে মধুছন্দা তরফদার। বাসবীর ‘নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়’ ও ‘আমার দিন ফুরালো’ মনে থেকে যাবে। মধুছন্দা উদাত্ত ভাবে পাঠ করলেন বর্ষার কবিতা। এর পরে এলেন গানে ও কবিতায় সাথী দাশগুপ্ত ও কৃষ্ণকলি বসু। সাথীর গলায় ‘কবে আমি বাহির হলেম’, ‘তুমি কিছু দিয়ে যাও’ বেশ ভাল লাগে। অনবদ্য কণ্ঠস্বর ও স্পষ্ট উচ্চারণে কৃষ্ণকলি বসু আবৃত্তি করে শোনালেন বেশ কয়েকটি কবিতা। ‘ভারততীর্থ’ ও ‘বিদায়’ কবিতায় শ্রোতার ‘হৃদয়ে’ রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতির অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। শেষ পর্বে আসেন গানে ও কবিতায় তানিয়া দাশ ও মধুমিতা বসু। মধুমিতা পাঠ করলেন সুন্দর। |
সম্প্রতি ‘ভাবনা’-র নিবেদনে ছিল সুব্রত সেনগুপ্তের একক রবীন্দ্রসঙ্গীত। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব মিলিয়ে প্রায় ২৬টি নির্বাচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন শিল্পী। শুরুতেই ছিল বেদ গান ‘তমীশ্বরানাং’। পরে ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে’, ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি’ এবং প্রথম পর্বের শেষ গান ‘চির সখা হে ছেড়ো না’। প্রতিটি গানই সুনির্বাচিত। রবীন্দ্রগানে শিল্পী সুনাম পুরোপুরি অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। অবশ্য দ্বিতীয় পর্বেও পর পর গানে কোনও ক্লান্তি ধরা পড়েনি তাঁর কণ্ঠে। গায়কির তেজে ‘এ কী গভীর বাণী’, ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’, ‘গোধূলি গগনে মেঘে’ গানগুলি শ্রোতাদের মনে থাকবে বহুদিন। |