সঙ্গীত সমালোচনা ২...
সুরের হাওয়া
মাত্র সতের বছর বয়সে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ যখন প্রথম বিলেত যান তখন পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে চর্চা করেছিলেন পাশ্চাত্য সঙ্গীতেরও। দেশে ফিরে আসার পর তিনি কিছু ইংরেজি, স্কটিশ ও আইরিস সুরের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু গান রচনা করেছিলেন।
তারই কিছু গান নিয়ে ‘সাগর পারে সুরের হাওয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠান হল ইজেডসিসি প্রেক্ষাগৃহে। শিল্পী ছিলেন গানে শিঞ্জিনী আচার্য মজুমদার। গিটার, কি-বোর্ড, ড্রাম, তালবাদ্য প্রভৃতি সমন্বয়ে সমবেত যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন সৌম্যশঙ্কর রায় ও তাঁর সহশিল্পীরা।
সাতটি রবীন্দ্রসঙ্গীত তথ্য সহকারে শুনিয়েছেন শিঞ্জিনী। প্রথম গানটি ছিল বাল্মিকী প্রতিভার ‘কালী কালী বলো রে আজ’। ওই গানটির মূল গান ‘ন্যান্সি লী’ দ্বারা অনুপ্রাণিত। আবার রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনের ক্ষেত্রেও তিনি সমান সপ্রতিভ।
এই সব গানের মধ্যে ছিল বহুশ্রুত ‘পুরানো সেই দিনের কথা’, ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’, ‘কত বার ভেবেছিনু’ প্রভৃতি গানগুলি। রবীন্দ্রনাথ আইরিশ গানের সুরে রচনা করেছিলেন ‘সকলি ফুরালো সকল প্রায়’ যা কালমৃগয়া গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছে। দু’টি গানের মধ্যেই যে বিষাদের ছোঁয়া আছে তা শিঞ্জিনীর নিবেদনে ধরা পড়ে। এইটিই ছিল অনুষ্ঠানের শেষ গান।
শিঞ্জিনীকে সহযোগিতা করেন এসরাজে অঞ্জন বসু, কি বোর্ডে রানা দত্ত ও তবলায় কমলেশ রায়।
Previous Item Patrika Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.