|
|
|
|
‘তছরুপ’ নিয়ে কাজিয়ায় স্কুলে পড়া শিকেয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লালগোলা |
মানিকচক হাইমাদ্রাসার সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ‘তছরুপ’ নিয়ে কাজিয়ার জেরে প্রায় আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রীর পঠনপাঠন লাটে উঠেছে। ‘তছরুপ’ নিয়ে বিবাদের ফলে প্রধানশিক্ষকের কার্যালয় ও অশিক্ষক কর্মীদের কার্যালয় গত ১২ মে থেকে তালাবন্দি। ফলে ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট এখন বিশ বাঁও জলের তলায়। প্রথম ইউনিট টেস্টও নেওয়া হয়েছে নম নম করে।
মাদ্রাসা বোর্ডের নিয়ম অনুসারে একটি শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রীদের মোট ৪টি ইউনিট টেস্ট ও একটি বার্ষিক পরীক্ষা নিতে হয়। ২৫ নম্বর করে প্রতিটি লিখিত ইউনিট টেস্ট। প্রতিটি ইউনিট টেস্টের উত্তরপত্র পরীক্ষার পরে অভিভাবকদের দেখার জন্য ছাত্রছাত্রীদের হাত দিয়ে তা বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হয়। ওই উত্তরপত্র দেখে নিজের সন্তানের লেখাপড়ার মান সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত হওয়ার কথা। মানিকচক হাইমাদ্রাসায় এ সব নিয়ম বিধির কোনও তোয়াক্কাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। স্কুলের শিক্ষকেরা স্বীকার করেছেন, ২৫ নম্বরের প্রথম লিখিত ইউনিট টেস্টের বদলে নেওয়া হয়েছে মৌখিক পরীক্ষা। মাদ্রাসা বোর্ডের নির্দেশিকা অনুসারে দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট নেওয়ার কথা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু আর্থিক তছরুপ নিয়ে ডামাডোলের কারণে ২২ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ওই হাইমাদ্রাসায় ‘গরমের ছুটি’ দেওয়া হয়েছে। তার পর ১২ জুন রবিবারের ছুটি। মাদ্রাসা খুলবে আগামী ১৩ জুন সোমবার। মাদ্রাসা খুললেও দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট কবে হবে, কী ভাবে হবে তা নিয়ে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। ওই মাদ্রাসার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সম্পাদক তথা সহকারি প্রধানশিক্ষক মহম্মদদুল্লা বলেন, “বিশেষ পরিস্থিতির কারণে প্রথম ইউনিট টেস্টের লিখিত পরীক্ষার বদলে নেওয়া হয়েছে মৌখিক পরীক্ষা। ওই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট কি ভাবে নেওয়া যাবে তা নিয়ে আমরা শিক্ষকরাও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।” |
|
|
|
|
|