|
|
|
|
ভর্তি শুরু, শুরু ছাত্র সংঘর্ষও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতেই ছাত্র-সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বহরমপুর কলেজে ছাত্র ভর্তির সময় তৃণমূল ও ছাত্রপরিষদের সমর্থক বহিরাগতরা কার্যালয়ে ঢুকে এসএফআই সদস্য-সমর্থক ছাত্রদের বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী ছাত্র সংসদ কার্যালয়ে তারা দলীয় প্রতীক আঁকা ব্যানারও টাঙিয়ে দেয়।
এর পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোটা বিষয়টি জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে এসএফআই-এর তরফে। তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতৃত্ব অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগ, “এ দিন কলেজে ভর্তি চলার সময়ে তৃণমূলের পার্থ পালের নেতৃত্বে এক দল বহিরাগত ছাত্রসংসদ কার্যালয়ে ঢুকে আমাদের সদস্য-সমর্থকদের মারধর করে এবং ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। ওই কার্যালয়ে টাঙানো জ্যোতি বসুর ছবি ছিঁড়েও দেওয়া হয়। এর পরে ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত এসএফআই-এর দখলে থাকা ছাত্র সংসদ দখল করে নিয়ে তারা তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দেয়।” তাঁর কথায়, “এর আগে গত ৭ জুন জিয়াগঞ্জের রানি ধ্বন্যাকুমারী কলেজে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের বহিরাগত ছাত্ররা আমাদের সদস্য-সমর্থকদের উপরে চড়াও হয়। ফের এ দিন বহরমপুর কলেজে একই ঘটনা ঘটল। এভাবে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ কলেজগুলিতে ছাত্র-সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোটা বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও বহরমপুর মহকুমাশাসককে জানিয়েছি।”
তৃণমূল ছাত্রপরিষদের পক্ষে পার্থ পাল বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। রাজ্যের পরিবর্তনের হাওয়ায় কলেজে আগে এসএফআই করতেন, এখন তাঁরা তৃণমূল ছাত্রপরিষদে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রসংসদের বেশ কয়েক জন নির্বাচিত সদস্যও রয়েছেন। তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এদিন বহরমপুর কলেজ ছাত্রসংসদ কার্যালয়ে ঢুকে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ব্যানার টাঙিয়ে ঘরের দখল নিয়েছে।” প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলার ২৩টি কলেজের মধ্যে ২০১০ সালে ১৬টি কলেজে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে ৯টি বামমোর্চার ও ৭টি কলেজ রয়েছে ছাত্রপরিষদের দখলে। বহরমপুর মহকুমাশাসক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজের ভেতরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের সাহায্য না চাইলে আমরা করতে পারি না। তবে কলেজের বাইরে কোনও ঘটনা ঘটলে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। তবে কলেজের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে কলেজ অধ্যক্ষ আমাদের কিছু জানান না।” |
|
|
|
|
|