|
|
|
|
ভান্ডারদহই ‘রোল মডেল’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
জলা জমিতে পুরুদ্ধার এবং তাতে মাছ চাষের রোল মডেল হিসেবে মুর্শিদাবাদের ভান্ডারদহ বিলকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে মৎস্য দফতর। শুক্রবার বহরমপুরে তাঁর দফতরের অধিকর্তা এবং স্থানীয় বিধায়কদের সহ্গে আলোচনা করে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা।
এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য পরিষদীয় দফতরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী ও নওদার বিধায়ক কংগ্রেসের আবু তাহের। বৈঠক শেষে লালগোলার বিধায়ক তথা মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা বলেন, “এ দিনের বৈঠকে মাছ চাষের উন্নয়ন ঘটাতে জলাভূমি সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ জেলার বহরমপুর লাগোয়া ভাণ্ডারদহ বিল ও লালগোলার সিংহসালামারা বিল সংরক্ষণের।” এ জন্য ওই এলাকা সরজমিনে তদন্ত করে মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। রাজ্যের অন্যান্য জলা জমিগুলিও সংরক্ষণ করা হবে একই পদ্ধতিতে।
জলা জমি সংরক্ষণের সঙ্গে মাছ চাষের ক্ষেত্রের পশ্চিমবঙ্গের অন্ধ্র প্রদেশের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকাও আর পছন্দ নয় মন্ত্রীর। এ দিনের বৈঠকে এ ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে তিনি জানান। মন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্যে যে পরিমাণ মাছ চাষ হয়ে থাকে, তাতে চাহিদার সঙ্গে যোগানের সামঞ্জস্য নেই। বাইরে থেকে বিশেষ করে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমাদের মাছ আমদানি করতে হয়। এই অবস্থায় রাজ্যের যে সমস্ত খাল-বিল-পুকুর, নালা, দিঘি রয়েছে, তা সংস্কার করে মাছ চাষের উপযোগী করে তোলা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” তিনি বলেন, “জলা ভূমি সংরক্ষণ করে আরও বেশি করে মাছ চাষের পাশাপাশি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দফতরের পাশাপাশি খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের দায়িত্বে থাকার সুবাদে পর্যটন ও পরিবেশেরও উন্নয়ন ঘটানো হবে। সেই সঙ্গে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দফতরের আওতায় জঙ্গিপুরে যে ফুড পার্ক তৈরি হয়েছে, ওই ধরণের আরও শিল্প গড়ে তোলার ভাবনা-চিন্তা রয়েছে। সেখানে আম-লিচুর পাশাপাশি দুগ্ধজাত সামগ্রী, মাছ সংরক্ষণ করে রাখা হবে। শিল্পের উন্নতি ঘটাতে পারলে জেলার অর্থনীতিরও উন্নয়ন ঘটবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।” গত দু’বছরে ১২টি জেলার জলাভূমির বিস্তারিত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “তিন বছরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত জলাভূমির তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র।” ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলা, দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জলাভূমির তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জলাভূমির তথ্যভাণ্ডার গড়ার কাজ। |
|
|
|
|
|