|
|
|
|
চন্দ্রিতে উত্তেজনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সিপিএমের এক সময়ের ‘দুর্গ’ ঝাড়গ্রামের চন্দ্রি অঞ্চলে শুক্রবার সকালে ‘বিজয়-মিছিল’ করল তৃণমূল। এলাকায় ‘খুন-সন্ত্রাসে অভিযুক্ত’ সিপিএম নেতাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানানো হয় মিছিল থেকে। বিড়া, আউসপাল হয়ে চন্দ্রির হাসপাতাল মোড়ে শেষ হয় মিছিল। মিছিলের পরে দুপুরে আউসপালে তৃণমূলের কয়েকটি পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত তিরিশ বছরে চন্দ্রিতে ছিল সিপিএমেরই একচ্ছত্র আধিপত্য। বিরোধীরা সভা-মিছিল কার্যত করতেই পারত না। জনগণের কমিটির আন্দোলন পর্বেও চন্দ্রি ‘নিয়ন্ত্রণে’ ছিল সিপিএমের। গত বছর ডিসেম্বরে চন্দ্রির খাসজঙ্গল মাঠে প্রথম সভা করে তৃণমূল। সে দিনও অদূরে বোমাবাজির জেরে ত্রাস ছড়ায়। অভিযোগের আঙুল ওঠে সিপিএমের দিকে। শুক্রবার অবশ্য তৃণমূলের মিছিলে স্থানীয় মানুষের ঢল নামে। মিছিলের নেতৃত্বে থাকা তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য স্বপন পাত্রের অভিযোগ, “স্থানীয় সিপিএম নেতা প্রশান্ত দাসের ‘সশস্ত্র বাহিনী’ এখনও চন্দ্রির বেশ কিছু এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।” প্রশান্তবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের ঘরছাড়া করতে প্ররোচনা ছড়াচ্ছে তৃণমূল।”
নতুন সংগঠন। অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে কাঁথি-৩ ব্লকে মুটিয়া-মজদুর সংগঠন গড়ল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। আইএনটিটিইউসি’র উদ্যোগে সোমবার বিকেলে মারিশদা বাজারে ব্লকের অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে এক বৈঠক হয়। সভাপতিত্ব করেন কাঁথি-৩ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সমরেশ দাস। তৃণমূলের দাবি, ৮১ জন শ্রমিক মুটিয়া-মজদুর ইউনিয়নে যোগ দিয়েছেন। ২১ জনের নতুন কমিটিও গড়া হয়েছে। সম্পাদক হয়েছেন রাসেদ আলি খান। |
|
|
|
|
|